সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে আটকের দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পোস্টে বলা হচ্ছে, তিনি অবৈধভাবে আধার কার্ড সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে, তথ্য যাচাইকারী প্ল্যাটফর্ম রিউমর স্ক্যানার জানায়, এ দাবির পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি। ভারতীয় বা বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমেও এমন কোনো তথ্য নেই।
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৮ জানুয়ারি রাত ১০টা ৩ মিনিটে ‘Abdur Rab Bhuttow’ নামের এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথম এই দাবি করা হয়, কিন্তু সেখানে কোনো তথ্যসূত্র দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামীম নিশ্চিত করেছেন, নিজাম হাজারীর গ্রেপ্তারের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
এদিকে, গত ৬ আগস্ট ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম হাজারী, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ও এমপির দেহরক্ষী মানিককে অবৈধ পথে ভারতে পালানোর সময় আটক করা হয়েছিল বলে যুগান্তর এবং ঢাকা টাইমস খবর প্রকাশ করেছিল। তবে ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান, তাদের কাছে সে সময়ও আটকের কোনো তথ্য ছিল না।
এছাড়া, বাংলা নিউজ২৪-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে ৮টি হত্যা মামলাসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে, এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
যদিও নিজাম হাজারী গ্রেপ্তার হননি, তবে গত ১২ আগস্ট আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তার ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ মানিক আটক হন এবং ১৩ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
সুতরাং, নিজাম হাজারীর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে আটকের দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।