কারিনা ও সাইফ বলিউডের সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় চেনা মুখ। তারা দুজনেই দীর্ঘ সময় ধরে বলিউড ইন্ডাষ্ট্রিতে কাজ করছেন। এবং তারা অভিনয় করেছেন অসংখ্য সিনেমায়। তাদের অভিনীত সিনেমা গুলো দর্শক মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। তারা প্রায় সময় নানা ইস্যু নিয়ে দর্শক মাঝে আলোচনা-সমালোচনার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। সম্প্রতি তাদের ছেলেকে নিয়ে ভারতের একটি স্কুল প্রশ্ন করেছে। এবার সেই প্রশ্নকে ঘিরে বিপাকে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি স্কুলে ক্লাস সিক্সের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে শিশু তৈমুরকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। ওই প্রশ্নপত্রটি টুইটারে পোস্ট করার পর তা নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সংবামাধ্যম নিউজ এইটিনের খবরে বলা হয়, ছাত্রদের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘কারিনা কাপুর খান ও সাইফ আলি খানের ছেলের পুরো নাম কী? লিখে দেখাও?’ টুইটারে এই স্কুলের প্রশ্নপত্র শেয়ার করা হয়েছে। এ ঘটনার জেরে অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই স্কুলকে শোকজ করেছে স্থানীয় জেলা শিক্ষা অফিস। নিউজ এইটিনেরখবরে আরও বলা হয়, কারিনা কাপুর খান ও সাইফ আলি খান বলিউডের অন্যতম প্রিয় জুটি। বলিউডে দু’জনই জনপ্রিয়। তবে নবাব বংশের প্রতি সব সময় নজর থাকে পাপারাৎজিদের। কয়েক মাস আগেই দ্বিতীয় সন্তানের জেহ-র জন্ম দিয়েছেন কারিনা কাপুর খান ও সাইফ। তৈমুর আলি খান জন্মের পর থেকেই জনপ্রিয়। শিশু তৈমুরের মিষ্টি চেহারা সবাইকে মুগ্ধ করে। এখন তৈমুরের ছবি তোলার জন্য ভিড় জমান পাপারাৎজিরা। তবে তৈমুরের জনপ্রিয়তা এখন আর আটকে থাকল না বলিউড বা পাপারাৎজিদের গণ্ডিতে। এখন স্কুলেও পরীক্ষাপত্রেও ঢুকে পড়ল এই জনপ্রিয় তারকা দম্পতি ও তাদের সন্তানদের নাম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্কুলের পরীক্ষায় এই প্রশ্ন দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাবা মায়েরা। স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। কীভাবে ক্লাস সিক্সের ছাত্রদের পরীক্ষায় এই প্রশ্ন আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জেলার শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা দেখছি গোটা বিষয়টা। স্কুলকে শোকজ করা হয়েছে। তবে অভিভাবকরা ওই স্কুল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। কারিনা কাপুর খান বা সাইফ আলি খান বিনোদন জগতের মানুষ। তাদের নিয়ে স্কুলে কিছু পড়ানো হয় না। তাহলে কীভাবে এই প্রশ্ন থাকতে পারে!
বিনোদন জগতের ব্যক্তিদের নিয়ে উচ্চ ক্লাসে প্রায় সময় কয়েকটি প্রশ্ন থাকে। তবে ক্লাস সিক্সের ছাত্রদের পরীক্ষায় তৈমুরকে নিয়ে একটি প্রশ্ন এসেছে। এই নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়াও অভিভাবকরা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানিয়েছে।