ভারতের হিন্দি ভাষায় নির্মিত সিনেমা গোটা বিশ্ব জউরেই বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয়। প্রতিবছরে ভারতের বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনীত সিনেমা প্রকাশিত হয়ে থাকে। তবে প্রায় সময় নানা সিনেমাকে নিয়ে বির্তকের সম্মুখকিন হয়ে থাকে ভারত।েরই সুত্র ধরে অনেক ক্ষেত্রে এই সিনেমা গুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিষিদ্ধ করে থাকে। সম্পর্তি এমনি কয়েকটি সিনেমার নাম উঠে এলো প্রকাশ্যে।
বলিউডের এমন কিছু চলচ্চিত্র রয়েছে যেগুলো ভারতে ব্লকবাস্টার হিট ও খ্যাতি অর্জন করতে পারলেও বিদেশের মাটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া বিদেশের মাটিতে নিষিদ্ধ সেই সকল কিছু সিনেমার নাম:
পদ্মাবত
ভারতের অন্যতম বিতর্কিত সিনেমার তালিকায় রয়েছে দীপিকা পাডুকোন অভিনীত সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘পদ্মাবত’ ছবিটি। তবে ছবিটির এই বিতর্ক শুধু ভারতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। মালয়েশিয়া সরকার ছবিটিকে নিষিদ্ধ করেছিল। কারণ এতে ইসলামের কিছু সংবেদনশীলতাকে স্পর্শ করে, যা দেশটির মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আ/ঘা/ত হানতে পারে।
বোম্বে
এই সিনেমাটিও ধর্মান্ধতার ইঙ্গিত দেয় বলে অভিযোগ ছিলো। ছবিটির কাহিনী ১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মুম্বাই দা/ঙ্গা নিয়ে। যদিও এটি সমালোচকদের প্রচুর প্রশংসা পেয়েছে এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। কিন্তু তার পরেও ছবিটিকে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ফলে ‘ধর্মীয়’ উত্তেজনার কারণ দেখিয়ে সিঙ্গাপুরে সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা হয়।
দ্য ডার্টি পিকচার
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতা। যার জীবনী নিয়েই বলিউডে নির্মিত হয়েছিল ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ সিনেমাটি। ভারতে সিনেমাটি বেশ প্রসংশিত হলেও দেশের বাইরে এটিকে নানা খড়গ পোহাতে হয়েছে। এটি কুয়েতের মতো বেশ কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সিল্ক স্মিতার চরিত্রটিতে বিদ্যা বালানের খোলামেলা অভিনয় মেনে নিতে পারেনি।
নীরজা
একজন সাহসী এয়ার হোস্টেসের সত্য কাহিনীর উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল ‘নীরজা’ ছবিটি। যিনি স/ন্ত্রা/সী/দে/র জি/ম্মি/কৃ/ত একটি ফ্লাইটে যাত্রীদের বাঁচাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সিনেমাটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কারণ ছবিতে স/ন্ত্রা/সী/দের ভূমিকায় যাদের দেখানো হয়েছে, তারা সবাই পাকিস্তানি।
ওহ মাই গড
অন্যতম আলোচিত ছবিগুলোর একটি ‘ওএমজি’। ছবিটি ধর্মীয় গোঁড়ামিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যা মেনে নিতে পারেনি কট্টর ধার্মিকরা। সিনেআলোচকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আ/ঘা/তে/র কারণে সিনেমাটি এখনও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ।
ফিজা
এই সিনেমাটি একটি মধ্যবিত্ত মুসলিম পুরুষকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছিল, যিনি শেষ পর্যন্ত জঙ্গিতে পরিণত হয়। মালয়েশিয়া সরকার ছবিটির কাহিনীতে খুব একটা খুশি ছিল না এবং ‘প্রকৃত মুসলিম’ কখনো স/ন্ত্রা/সী হতে পারে না এই বিশ্বাসে ছবিটি নিষিদ্ধ করে।
বেলবটম
সৌদি আরব, কুয়েত এবং কাতারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে এই সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সিনেমাটি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল কারণ এটি ঐতিহাসিক তথ্যকে ভুলভাবে পর্দায় উপস্থাপন করেছে বলে কথিত রয়েছে।
অবশ্যে ভারতের নির্মিত সিনেমা গুলোর বেশ কদর রয়েছে বিশ্ব জুড়ে। প্রতিবছর এই মাধ্যম থেকে ভারত বিপুল পরিমানের অর্থ উপার্জন করে থাকে। সিনেমা খাত থেকে উপার্জিত অর্থ ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও অগ্রনী ভূমিকা পালন করে থাকে।