ভারতের পর্যটন ভিসা এখনো বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি মেডিকেল ও শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সীমিত আকারে তৃতীয় দেশের ভিসা চালু রয়েছে। এমনকি এই ভিসা প্রক্রিয়া সীমিত থাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি হয়েছে বড় ধরনের সংকট। অন্যদিকে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ওয়ার্ক ভিসা পেতেও অনেক বাংলাদেশি সমস্যায় পড়ছেন। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ভারতের দিল্লি কেন্দ্রিক ভিসা প্রসেসিংয়ের বিকল্প হিসেবে তৃতীয় দেশের মাধ্যমে ভিসা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সাধারণত পশ্চিম ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের ভিসা বাংলাদেশ থেকেই পাওয়া যায়, তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর জন্য ভিসা নিতে যেতে হয় দিল্লিতে। বিশেষ করে বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, ও পোল্যান্ডের মতো দেশগুলোর দূতাবাস ঢাকায় না থাকায় দিল্লি নির্ভর হতে হয়। সম্প্রতি এই প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও কর্মীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ অবস্থায় রোমানিয়ার ভিসা শিক্ষার্থীরা থাইল্যান্ড বা ভিয়েতনামের দূতাবাস থেকে আবেদন করতে পারবেন। বুলগেরিয়ার ভিসার জন্য ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, বা কাজাখস্তানের দূতাবাস ব্যবহার করা যাবে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার দূতাবাসে ৮৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই আবেদন করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে যাতে বাংলাদেশি নাগরিকরা তৃতীয় দেশের মাধ্যমে সহজেই ভিসা পেতে পারেন। একই সঙ্গে, ক্রোয়েশিয়া, বুলগেরিয়া ও রোমানিয়ার ভিসা সরাসরি বাংলাদেশ থেকেই পাওয়া যায়, সেই প্রচেষ্টাও চলছে।
পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন ইউরোপের তিন দেশ—জার্মানি, চেক রিপাবলিক ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনা—সফরে গিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার জানিয়েছেন, লোকবল সংকটের কারণে পর্যটন ভিসা আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি মেডিকেল ভিসা এবং তৃতীয় দেশের ভিসার জন্য ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রাপ্তি সহজ করতে বিকল্প উপায় খোঁজা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই বেশ কিছু দেশে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ভিসা ইস্যু সমাধানে নিয়মিত যোগাযোগও চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।