১৪ ও ১৮ মতো ২৪ সালেও নির্লজ্জের মতো আওয়ামীলীগের পাশে দাঁড়িয়ে এদেশের মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে ভারত। এদেশের ১৮ কোটি মানুষের আকাঙ্খাকে উপেক্ষা করে একটি দলকে অবৈধ্য ভাবে ক্ষমতায় রেখেছে ভারত।নিজেদের ফাঁয়দা লোটার জন্য গনতান্ত্রিক মানুষে অধিকার কেড়ে নেওয়া নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছে তারা।অথচ তার দাবি করছে বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা রক্ষায় সহযোগিতা করছে তারা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
আমাদের বয়কট আন্দোলন সাফল্যের সঙ্গে তার দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌছেছে। দ্বিতীয় পর্যায় কী? কীভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে এই পর্যায়ে পৌছেছে, পর্যায় বলতে কী বুঝায় এইসবের বিস্তারিত নিয়ে আগামী ভিডিও।
আমাদের প্রথম পর্যায়ে আমরা টার্গেট করেছিলাম সরকারবিরোধী সবচেয়ে বিপ্লবী অংশকে। এরাই চেইঞ্জ মেকার। এরা কারা, কীভাবে এদের টার্গেট করা হয়েছিলো। কী ধরনের মেসেজ ছিলো, এটা এখন বললে কোন অসুবিধা নাই। কারণ আমরা ওই পর্যায় পার হয়ে এসেছি। সেটাই ভিডিওতে বলা হবে।
আমরা মাত্র ২.৫% বাংলাদেশীকে টার্গেট করেছিলাম। এখন আমাদের টার্গেট ভিশনারি গ্রুপকে। এরা প্রায় ১৩.৫% মোট জনগোষ্ঠীর। এতোদিন যারা বয়কট করেছেন তার ছয় গুন মানুষ যুক্ত হবে সামনের কয়েক সপ্তাহে। এটা বিপুল সংখ্যা। মাত্র আড়াই শতাংশ মানুষের বয়কট দিল্লীকে “শংকিত” করেছে। তাহলে ভেবে দেখেন আরো সাড়ে তেরো শতাংশ যুক্ত হলে কী হবে?
এটা শুধু মাঠের লড়াই না, এটা বাংলাদেশের কালেক্টিভ ইন্টেলিজেন্স এর সাথে ভারতীয় শাসকদের টেক্কা। আমরা সফলভাবে টেক্কা দিতে পেরেছি। আমরা আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে আমাদের পরের ধাপের লড়াই শুরু করবো৷ এটা কারো একার চেষ্টায় বা বুদ্ধিমত্তায় হয়নি, এটা হয়েছে আমাদের কালেক্টিভ ইন্টেলিজেন্সে আর সৃষ্টিকর্তার রহমতে।
প্রথম পর্যায়ের লড়াইয়ে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য ছিলো। কোথায় কীভাবে সেই সাহায্য এসেছে? দেখবেন?
আমাদের দরকার ছিলো ভারতের প্রতিক্রিয়া নিশ্চিতভাবে জানা। এটা তাদের হার্ট করছে কিনা? আনন্দবাজার পত্রিকা আমাদের জানালো “ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের বয়কট আন্দোলনে শংকিত”। আনন্দবাজার “শংকিত” এই কথাটা না লিখলে আমাদের জন্য প্রমাণ করা মুশকিল হতো বয়কট ভারতকে আঘাত করছে। এটা কি সৃষ্টিকর্তার সাহায্য নয়?
এই দ্বিতীয় পর্যায়ের লড়াইয়ের বিজয়ের জন্য আসুন আমরা সবাই সৃষ্টিকর্তার সাহায্য আর রহমত কামনা করি।