পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, স্থিতিশীলতা ও শক্তিশালী আর্থ-সামাজিক রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে এবং ভারতের জন্য সর্বোত্তম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের সুযোগ সীমাহীন- একবার আমরা সেগুলো উপলব্ধি করলে তা বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যাপক অবদান রাখবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সিলেটে সিলেট-শিলচর উৎসবে ভাষণ দেন।
ড. মোমেন বলেন, সম্পদ ও জনশক্তির কার্যকর সংগ্রহ, সহযোগিতার জন্য জনসমর্থন জোগাড় করা এবং উপ-অঞ্চলের পূর্ণ পুনরুজ্জীবন অর্জন বাংলাদেশের জন্য উন্নয়ন অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সিলেট-শিলচর উৎসব দুই দেশের অভিন্ন সংস্কৃতি, একই ধরনের খাবার এবং অভিন্ন আকাঙ্খা তুলে ধরে বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, উৎসবটি উভয় পক্ষের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একত্রিত করে অভিন্ন শান্তি ও সমৃদ্ধি, আস্থা ও বোঝাপড়ার বিষয়ে আলোচনা করতে পারে।
আমাদের ভাগ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং আমাদের ভবিষ্যৎ সাধারণ সমৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশ একটি বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে ভারতের উত্থানকে তার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখে।
তিনি বলেছিলেন যে ভারতের উত্তর-পূর্বে স্থিতিশীলতা আনতে প্রধানমন্ত্রীর দ্ব্যর্থহীন সমর্থন উভয় পক্ষের আস্থাকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করেছে। এর আগে সিলেটে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের ১১ দফা শেষে ‘সিলেট ঘোষণা’ গৃহীত হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত সংলাপের ১১তম দফায় একটি ব্যাপক ও পারস্পরিক কল্যাণকর অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বকে সুসংহত করার প্রচেষ্টা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: বাস