দেশটির ইংরেজি নাম ‘ইন্ডিয়া’-এর বদলে ‘ভারত’ রাখা উচিত কিনা তা নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। এরই মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক ”ইন্ডিয়া’ নাম পরিবর্তন নিয়ে মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ভারতের নাম পরিবর্তনের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর জাতিসংঘ তাদের নথিতে ‘ইন্ডিয়া’-এর পরিবর্তে ‘ভারত’ নাম দেবে।
দিল্লিতে G-20 সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সময়, স্টিফেন ডুজারিক বলেছিলেন যে এই বিষয়ে মন্তব্য করা জাতিসংঘের কাজ নয়। বিষয়টি মূলত আমলাতান্ত্রিক বিষয়। ভারতের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে গেলে জাতিসংঘও নথিতে নাম পরিবর্তন করবে।
ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ নয় যে তার নাম পরিবর্তন করেছে। রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে যেসব দেশের নাম পরিবর্তন হয়েছে তাদের তালিকা বেশ দীর্ঘ। তাদের মধ্যে, Türkiye সম্প্রতি এর নাম পরিবর্তন করেছে।
তুরস্কের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা বলেন, গত বছর তুরস্ক তার নাম ‘তুরস্ক’ থেকে পরিবর্তন করে ‘তুর্কি’ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের ঘটনা বহুবার ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পাঠানো একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর নাম পরিবর্তন নিয়ে দেশে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। রাষ্ট্রপতির পাঠানো চিঠিতে ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি’র পরিবর্তে ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি’ লেখা হয়েছে।
অন্যদিকে,২০তম আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এবং বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদির ইন্দোনেশিয়া সফরের একটি নোটে ”ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রী’র পরিবর্তে ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
নোটটি সোশ্যাল মিডিয়া এক্স (পূর্বে টুইটার) তে প্রকাশ করেছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র।পোষ্ট করার পরই কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিজেপির সমালোচনা শুরু করেন। অনেকেই এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।