বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, ভারতের দাদাগিরির দিন শেষ। নিজেদের মাটিতে প্রতিবেশী দেশের কূটনীতিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননা এ ব্যর্থতার উদাহরণ। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় পতাকার অপমান এবং সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি, উভয় দেশের জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে না পারা ভারতের দুর্বলতার প্রতিফলন। অথচ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। সীমান্তে হত্যার বিষয়েও ভারত নিজেদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করত। আমাদের পূর্ববর্তী সরকারও ভারতের সুরে কথা বলত। ভারতের সঙ্গে অসম বাণিজ্য এবং রামপাল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে শোষণ করেছে।”
বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের আবদুস সাত্তার বলেন, “সহকারী হাইকমিশনে হামলা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকানির একটি উদাহরণ। এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।”
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নেতা রুবেল শিকদারসহ আরও অনেকে।
সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলটি দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।