Thursday , December 26 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ভারতীয়দের জন্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে চেষ্টায় ব্রিটিশ মন্ত্রীরা, জানা গেল কারন

ভারতীয়দের জন্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে চেষ্টায় ব্রিটিশ মন্ত্রীরা, জানা গেল কারন

যুক্তরাজ্য সরকার সে দেশে প্রবাসী নীতিমালার মাধ্যে ভারতীয়দের জন্য বেশ কয়েকটি অভিবাসন নীতিমালায় শিথিলতা আনতে পারে। যুক্তরাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য ইতিমধ্যে তাদের অভিবাসন নীতিতে শিথিলতা আনতে ছাড় দেওয়ার জন্য মতামত জানিয়েছেন। লিজ ট্রাস যিনি ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বিশ্ব বাণিজ্য ফোরামে ভারতের সাথে একটি নতুন বাণিজ্য নীতি
প্রনয়নের বিষয়ে বিবেচনা করছেন। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে অভিবাসন নীতিমালায় বেশ কিছু রদবদল আনা হবে। এতে করে দেশটিতে যারা বসবাস করছেন তাদের মধ্যে ব্রিটিশ-ভারতীয়রা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। এই দুই দেশের সম্পর্ক বাড়িয়ে তুলতে তারা এই নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে।

আগামী সপ্তাহ হতেই যুক্তরাজ্য-ভারত বাণিজ্য বৈঠক শুরু হতে চলেছে। বরিস জনসন সরকার চায় দিল্লি অভিবাসন আইন পরিবর্তন করে লন্ডনের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি সই করুক।
দিল্লি অনেক দিন ধরেই যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতিতে কিছু বদল চাইছিল। এখন বরিস জনসন সরকারের আশা, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আরও বেশি করে দ্বিপাক্ষিক লেনদেনে অংশ নেবেন।

যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেল্যানের এ মাসেই দিল্লি সফরে যাওয়ার কথা। সেই সফরেই নতুন বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে।

ব্রিটিশ সরকারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই যৌথ প্রচেষ্টার অবশ্য বিরোধিতা করছেন আরেক প্রথম সারির ব্রিটিশ রাজনীতিক—ভারতীয় ব‌ংশোদ্ভূত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পটেল। অভিবাসন আইনে যে কোনও ধরনের বদল আনার ঘোর বিরোধী তিনি। প্রীতির দাবি, অভিবাসন আইন আরও শিথিল করলে কর্মসংস্থান ও ব্যবসায়িক দিক থেকে মা’র খাবেন ব্রিটিশ নাগরিকরাই।

অভিবাসন নীতিতে কী ধরনের বদল আনতে চাইছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী? বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের যে ধরনের অভিবাসন নীতি রয়েছে, সেই ধাঁচেই ভারতীয়দের জন্য কিছু নিয়ম চালু করতে চান তিনি। যেমন, কম বয়সী ভারতীয়রা চাইলে যুক্তরাজ্যে গিয়ে তিন বছর পর্যন্ত কোনও চাকরি করতে পারবেন। তাছাড়া, স্টুডেন্ট ভিসায় যারা দেশটিতে গিয়ে পড়াশোনা করবেন, তারা ডিগ্রি পাওয়ার পরও কিছু দিন যুক্তরাজ্যে থেকে চাকরির সুযোগ পাবেন।

এ ছাড়া পর্যটন, বাণিজ্য বা চাকরি— বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিসা ফি কমানোর কথাও ভাবছে ব্রিটিশ সরকার। এখন চাকরি করতে যারা যুক্তরাজ্যে যান, তাদের ওয়ার্ক ভিসার জন্য ১৪০০ পাউন্ড ফি দিতে হয়, স্টুডেন্ট ভিসা ফি ৩৪৮, পর্যটন ভিসা ফি ৯৫ পাউন্ড। ভারতে গেলে ব্রিটিশদের পর্যটন ভিসা ফি দিতে হয় ১১০ পাউন্ড, আর এক বছরের জন্য বাণিজ্য ভিসা ফি ১৬৫ পাউন্ড।

যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের কোনও স্বতন্ত্র দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নেই। ফলে এই চুক্তি হলে লাভবান হবে দিল্লি। অন্যদিকে, ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য চুক্তি করতে উদগ্রীব লন্ডন।

তবে ভারতীয় অভিবাসীদের ক্ষেত্রে নীতিমালায় যে শিথিলতা আনতে চলেছে তার জন্য বেশ কয়েকটি দিক বিবেচনায় রয়েছে। ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখাসহ বানিজ্যিক দিকটিতেও লাভবান হবে দেশটি। আরেকটি কারন হলো, কয়েকটি দেশের প্রভাব বিস্তার দমিয়ে রাখতে দেশটি ভারতের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে নীতিমালায় রদবদল করে ভারতীয়দের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে চাইছে। এতে করে ভারতীয়রা সেখানকার চাকরিসহ নাগরিকত্বে বেশ বড় রকমের ছাড় পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবর আনন্দবাজার ও দ্য গার্ডিয়ানের।

About

Check Also

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে নয়াদিল্লির জবাব, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পৌষ মাস নাকি সর্বনাশ?

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে। নয়াদিল্লি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *