জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন কানাডা সরকার আবারও ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার দেশটি ভারতকে ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। কানাডার ‘সাইবার হুমকি নিরূপণ প্রতিবেদন ২০২৫-২৬’এ ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
ভারত ও কানাডার চলমান কূটনৈতিক সংকটের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তালিকায় ভারতের অবস্থান পঞ্চম, যেখানে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন, পরবর্তী অবস্থানে রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কানাডা সরকারের এটি আরেকটি কৌশল। শনিবার (২ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, ট্রুডোর প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক মনোভাব প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
খালিস্তানপন্থি নেতা হারদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক অবনতির দিকে। সম্প্রতি কানাডা দাবি করেছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কানাডায় শিখ অ্যাক্টিভিস্টদের লক্ষ্যবস্তু করার ষড়যন্ত্র করছেন, যা ভারত অস্বীকার করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, দিল্লি কানাডার হাইকমিশনের প্রতিনিধিকে তলব করে এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভারত সরকারের মতে, কানাডার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড মরিসনের অমিত শাহ সম্পর্কে মন্তব্য ভিত্তিহীন ও হাস্যকর। এরপরই ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে কানাডা।