“সুরক্ষিত সীমান্ত চাই, যেখানে আর কোনো বাংলাদেশি প্রাণ হারাবে না। যতদিন এই চব্বিশের ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে এবং চব্বিশের বিপ্লব জেগে থাকবে, ততদিন ভারতীয় আধিপত্যবাদ বাংলার মাটিতে স্থান পাবে না।”
এ কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সদস্যরা, যারা একটি সমাবেশে অংশ নিয়ে ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল সমাবেশে বক্তব্য রেখে বলেন, “ফেলানী হত্যার ১৪ বছর পার হলেও এখনও বিচার হয়নি। এই ধরনের শতাধিক হত্যার বিচার না হওয়ায় বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন, “সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা আর কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না।”
দলের সদস্যসচিব তৌহিদ সিয়াম জানান, “চব্বিশে আমরা শুধুমাত্র হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করিনি, বরং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও সংগ্রাম করেছি। এই চব্বিশে দেশের প্রতিটি নাগরিক ভারতীয় এজেন্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামেছিল এবং ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় দিয়ে আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আঘাত করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “যদি ভারত এখনও বাংলাদেশকে তার অঙ্গরাজ্য মনে করে, তাহলে আমাদের ছাত্র-জনতা প্রস্তুত পাল্টা আঘাত করার জন্য। ১৩ বছর পার হলেও ফেলানীর হত্যার বিচার হয়নি, প্রত্যেকটি হত্যার বিচার ভারতকে করতে হবে। নতুবা ১৯৭১ সালের মতো বাংলাদেশের জনগণ ভারতের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠবে এবং ভারতকে ওই অঞ্চল থেকে উপড়ে ফেলবে।”
সিয়াম বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। আমরা আমাদের নদীর পানি চাই এবং সুরক্ষিত সীমান্ত চাই যেখানে আর কোনো বাংলাদেশি প্রাণ হারাবে না।”
সমাবেশের সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান শাহরিয়ার।