Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ভারতকে ট্রানজিট দিলে নাকি বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়া হয়ে যাবে : এমপি হারুন

ভারতকে ট্রানজিট দিলে নাকি বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়া হয়ে যাবে : এমপি হারুন

ক্ষমতাসীন সরকার দেশের স্বার্থ থেকে ব্যক্তি স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সাথে তাদের ব্যাপক বন্ধত্বপূর্ন সম্পর্কে দাবি করে আসছে সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা। তবে তাদেরকে সুবিধা দেওয়ার সময় কোনো সমস্যার দেখা যায়নি কিন্তু সুবিধা আদায়ে সময় প্রতি বারই ঝামেলা হতে দেখা যায়। সরকার দেশের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ কিন্তু দলের স্বার্থে রক্ষায় ভুল করছে না সেটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রমাণ মিলেছে বলে জানান বিএনপি সংসদ সদস্য হারুন-অর রশীদ।দেশকে ভারতের কাছে বন্ধক রেখেছে সরকার মন্তব্য যা বললেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন-অর রশীদ।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন-অর রশিদ বলেছেন, লাখ লাখ শহীদ জীবন দিয়ে ভারতের গোলামী করার জন্য দেশ স্বাধীন করেননি। কিন্তু বর্তমান সরকার দেশকে ভারতের কাছে বন্ধক রেখেছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ভোলায় গু/লিতে দুই নেতা নি/হতের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা ও পৌর বিএনপি শহরের দেবীগঞ্জ সড়কের জুট মিল মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সরকার ভারতকে খুশি করতে সব দিয়েছে, আর কী দেবে এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে বাংলাদেশের চারশো কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহার করছে ভারত।ট্রানজিট দিয়েছে, নদীপথ ব্যবহার করছে, সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করছে আমাদের কোনো লাভ নেই। কিন্তু হাসিনার সরকার নেপাল ও ভুটান থেকে মাত্র ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার ট্রানজিট রুট সংগ্রহ করতে পারেনি। ভারতকে ট্রানজিট দিলে নাকি বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়া হয়ে যাবে। কিন্তু যখন ট্রানজিট খোলা হলো বন্ধু দেশের থেকে কি ট্যাক্স নেওয়া মানানসই হবে, লজ্জার বেপার। এখন সারা বাংলাদেশ ব্যবহার করছে কিন্তু ভারত তিস্তার পানি দিতে পারছে না।

তিনি বলেন, পুলিশের গু/লিতে বিএনপি কর্মীরা নিহত হচ্ছে। দেশের কোনো আইনে, সংবিধানে কোথাও লেখা নেই, কোনো বিরোধী দলের সভা সমাবেশে চড়াও হবে, পণ্ডর মতো আচারণ করবে।

রেয়াজুল ইসলাম কালুর সভাপতিত্বে ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল খালেক, দিনাজপুর পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সভাপতি আখম আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান আনু প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, দেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে সুবিধা দিয়ে সরকার কিসের রাজনীতি করছে বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি সাংসদ হারুন-অর রশিদ। তিনি বলেন, দেশের মানুষ সব কিছুই দেখছে এর জবাব একদিন ঠিকই দিবে।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *