অর্থের জন্য মানুষ যে কত খারাপ কাজ করতে পারে তা অনেকের ধারণার বাইরে। অর্থের জন্য অনেক সময় নিজের আপন লোকদেরও বিক্রয় করে দেন কিছু মানুষ নামের পশু। এবার চাচা ও চাচার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা দুজন তাদের ভাতিজিকে বিক্রি করে দেন। আর এই ঘটনা দীর্ঘ কয়েক বছর পর প্রকাশ্যে এলো। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর থেকে তারা পলাতক ছিল। এই ঘটনায় এবার বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতরা করা হয়েছে। এই বিষয়ে এবার বিস্তারিত সংবাদ উঠে এসেছে।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় নারী পা’চা’রে’র মামলায় বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার (৩০ আগস্ট) দিনগত গভীর রাতে নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আইয়ুবের বাপের বাড়ির বাসিন্দা মো. ইদ্রিস মিয়া (৫৭) ও তার ছেলে আবদুল্লাহ শাফী (২৩)।
জানা গেছে, পরীকোট গ্রামের আবদুল মালেক জমিদারের মেয়ে নাছিমা আক্তার জোসনাকে ২০০৮ সালে ১৫ জুলাই ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন তার বড় চাচি আফরোজা বেগম ওরফে মুন্নি ও চাচা মো. ইদ্রিস মিয়া ও তার ছেলে আদুল্লাহ শাফী। ওই সময় জোসনার বয়স ছিল ১১ বছর।
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জোসনাকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান তারা। পরে ফেনী পৌরসভার রামপুর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তাকিয়া রোডের জয়নাল আবদীনের কাছে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।
স্থানীয়রা জানান, জোসনার বয়স এখন ২৬ বছর। পাচারের ১৫ বছর পর শা”রী”রি”ক নি”র্যা”’ত”নে”র শি’কা’র ওই যুবতী গত ৭ নভেম্বর সেনবাগে গ্রামের বাড়িতে ফিরে এলে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এদিকে, এই বিষয়ে কথা বলেন ওই সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। তিনি জানান, বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে মানব পা’চারের অভিযোগ ওঠার পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন। অবশেষে তাদের কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের সম্পর্কে তথ্য জানার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে এখন ওই এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে।