অনেক মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের ভাগ্য বদলানোর জন্য দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও রয়েছে তাদের তালিকা। তবে ভাগ্য বদলাতে গিয়ে তাদের এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা থাকে না কারো। দালালের পাল্লায় পড়ে অনেকেই তাদের সর্বস্ব খুইয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছে হাজেরা নামের এক গৃহবধূ।
ভাগ্য বদলাতে গত জুনে সৌদি আরবে যান নরসিংদীর রায়পুরার হাজেরা বেগম। প্রথমে তাকে কোম্পানিতে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হলেও পরে তাকে গৃহকর্মী হিসেবে চাকরি দেওয়া হয়। সৌদি আরবে যাওয়ার এক মাস পর তার মৃ/ ত্যুর খবর আসে। তবে রিক্রুটিং এজেন্সির শরণাপন্ন হয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না পরিবার।
পরিবারের দাবি, কোনো কথা না শুনেই রিক্রুটিং এজেন্সি ব্যবসা শুরু করে। এখন হাজেরার লাশ দেশে ফিরিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে হাজেরার পরিবার।
পরিবারের মতে, হাজেরা জুনের শেষের দিকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি আরব যান। পরিবারের অভিযোগ, গালফ ওভারসিজ নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে তিনি সৌদি আরবে যান। তবে বিএমইটি অনুমোদনের সনদে জাবের ইন্টারন্যাশনালের নাম উল্লেখ রয়েছে।
বলা হয়, পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর তার মৃত্যুর কারণ জানতে চাওয়া হয় সৌদি নিয়োগকর্তার কাছে। সৌদি নিয়োগকর্তা বলেছেন, হাজেরা অতিরিক্ত মাত্রায় মারা গেছেন। অন্যদিকে সৌদি আরবে এক বাংলাদেশি শ্রমিক দাবি করেছেন, হাজেরা গলায় ফাঁস দিয়ে আ/ ত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিবার অবগত নয়। এ ছাড়া হাজেরা বিভিন্ন সময় নি/ র্যাতনের কথা পরিবারকেও জানান। মধ্যস্থতাকারী ও সংস্থাকে জানিয়েও কোনো সমাধান পায়নি পরিবার।
হাজেরার মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে অনেক রহস্য। যে পরিবারে কর্মরত ছিল তাদের দাবি অতিরিক্ত নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবন করতে করতে মারা গিয়েছেন হাজরা। অন্যদিকে তার নিকটস্থ বন্ধুরা ধারণা করছে হাজিরা আ/ ত্ম হনন করেছে ওই পরিবারের অত্যাচারের কারণে। এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি পুলিশ। এখনো হাজার বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়নি। অন্যদিকে যেভাবেই হোক মেয়েকে ফিরে পেতে চায় হাজেরার স্বজনেরা।