অনেকে কর্মসন্ধানের জন্য নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। বিভিন্ন রকমের সপ্ন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রবাসী যাত্রা করে তারা। তবে কোন কোন সময় প্রবাসে গিয়ে তাদের নানা ধরনের প্রতিকূলতার মূখেও পড়তে হয়। এবার দালালের খপ্পরে পড়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিদেশ যাওয়া আকবরের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা সাম্প্রতিক আলোচনায় আসে।
দেড় মাস আগে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মির্জা আকবর (২৫) নামের এক যুবক তার স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে রেখে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে চলে যান। তবে তাকে আর জীবিত নয় কফিনে করে বাড়ি ফিরত আনা হয়েছ হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় তার কফিনবন্দী মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায়। এর আগে ২৪ জুলাই রাতে ওমানের রাজধানী মাসকাটে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান মির্জা আকবর।
শুক্রবার রাত ৯টায় হাতিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীদিয়া লঙ্গর বাজারের আলী সরদারের মসজিদের সামনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
মির্জা আকবর নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবু তাহেরের ছেলে।
মির্জা আকবরের বন্ধু আবদুর রহমান জানান, ভাগ্য পরিবর্তন করতে ১ মাস ১৫ দিন আগে ওমানে যান মির্জা আকবর। কিন্তু আজ সে লাশ হয়ে ফিরেছে।
হাতিয়া পৌরসভার মেয়র কে এম ওবায়েদ উল্লাহ বলেন, ছেলের বাবা নেই। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অনেক টাকা খরচ করে বিদেশে চলে যান।
এ ঘটনায় তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার দালালের প্রতি অভিযোগ জানিয়েছে আকবরের পিতা-মাতা । তাদের দাবি আকবর বিদেশ যাওয়ার পরে তার কাছে থাকা পাসপোর্ট আটকে রেখে দেশে চলে আসে সেই দালাল। এরপর থেকে তার ছেলের সাথে আর কোন যোগাযোগ করতে পারেনি তারা। এ ঘটনায় এখনো পুলিশের মামলা করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।