পুলিশের বরখাস্ত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ ও ডিএমপির অপরাধ বিভাগে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনের বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুঞ্জন উঠেছে। তবে বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সানজিদা।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে সানজিদা আফরিন গণমাধ্যমকে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। অনেকেই নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। হারুন স্যারের সাথে আমার বিয়ের একটি ছবি ছড়ানো হয়েছে। ছবির নারী আমি নই।
তিনি বলেন, হারুন স্যারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি শুধু আমার সহকর্মী। ডাক্তারের সিরিয়াল নিতে স্যারের সাহায্য নিয়েছিলাম। এর বেশি কিছু না।
সানজিদা ৩৩তম বিসিএসের কর্মকর্তা। তিনি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুন বারডেম হাসপাতালে সানজিদার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন বলে তার স্বামী মামুনুল জানতে পারেন। পরে তিনি ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। সেখানে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে হারুনের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে এডিসি হারুন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে মারধর করেন।
এ প্রসঙ্গে সানজিদা আফরিন বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড বুকে ব্যথায় ভুগছিলাম। সেদিন (৯ সেপ্টেম্বর) ব্যথাটা একটু বেশি ছিল, তাই ডাক্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত নি। ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতাল হারুন স্যারের আওতাভুক্ত হওয়ায় ডাক্তারের সিরিয়াল পেতে স্যারের সাহায্য চেয়েছিলাম।
সানজিদা বলেন, হারুন স্যার আসার পর ডাক্তারকে ম্যানেজ করা হয়। তারপর ডাক্তার কিছু পরীক্ষা দেন। ঘটনার সময় আমি ইটিটি রুমে ছিলাম। ওখান থেকে বাইরে একটা হৈচৈ শুনতে পেলাম। পরে হারুন স্যারকে চিৎকার করতে শুনলাম ভাই, আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? তুমি আমার গায়ে হাত দিতে পারবে না। কিছুক্ষণ পর সেখানে দেখি আমার স্বামী আজিজুল হক মামুন। তার সাথে আরো কিছু ছেলে ছিল। তারা হারুন স্যারকে মারধর করার জন্য ইটিটি রুমে নিয়ে আসে। তখন আমি আমার স্বামী ও তার সাথে থাকা লোকজনের সাথে চিল্লাচিল্লি শুরু করছিলাম। তখন আমার স্বামী আমার গায়ে হাত তুলে স্যারকে বের করার চেষ্টা করছিলেন। কিছুক্ষণ পর ফোর্স এলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।