পুলিশ বাংলাদেশের সার্বজনীন আইন শৃঙ্ঘলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকে সর্বদা। আর এই সব দায়িত্ব পালন করতে যেয়েই মাঝে মধ্যে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। আর এমনি আরেকটি ঘটনা ঘটলো রাজধানীতে। রাজধানীর বেইলি রোডে ১০ থেকে ১২ জন যুবক উল্টো দিকে ছুটছিল। এ সময় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সহকারী পরিদর্শক (এসআই) মিরাজ হোসেন রাস্তা পার হচ্ছিলেন।এ সময় তার শরীরে মোটরসাইকেল তুলে দেন তারা।
মিরাজ তাদের জিজ্ঞেস করে, ওরা উল্টো পথে যাচ্ছে কেন? উল্টো দিকে আবার ধাক্কা দিচ্ছে। কথা শেষ হওয়ার আগেই দুজনে বাইক থেকে নেমে অন্ধের মত একে অপরকে ঘুষি মারতে লাগলো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরও ৮ থেকে ১০ জন তাকে ঘিরে ফেলে। তারপর আমাকে মারতে লাগলো আর বললো, তুমি আমার ভাইকে চেনো না? আবার বলো.’
কে সেই ভাই? জানতে চাইলে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা মিরাজ থানার এই সদস্য বলেন, তিনি যুবলীগের নেতা বলে জানতেন। ওই রাতে হাসপাতালে কয়েকজন এসে তাকে ‘সরি’ বলে। তিনি তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
এ ঘটনায় মিরাজ বাদী হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় সবুজ হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সাদা পোশাকে ছিলেন এই পুলিশ সদস্য।
তিনি জানান, তাকে মারধরের পাঁচ মিনিটের মধ্যে রমনা থানা পুলিশের একটি টহল দল এসে আহত মিরাজকে উদ্ধার করে। পরে তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে হাসপাতালের অষ্টম তলায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্সরা বলছেন, ৩৪ নম্বর বেডের পুলিশ সদস্য মাথায় আঘাত পেয়েছেন। গতকাল শুক্রবার থাকায় সিটি স্ক্যান করা যায়নি। তিনি এখন আগের চেয়ে সুস্থ।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে সবুজ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
তারা যুবলীগের নেতাকর্মী কিনা জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে কিছু বলা ঠিক হবে না।
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই ঘটনায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে পুরো বেইলি রোড এ। এ নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচএম রেজাউল করিম রেজা বলেন, রাজপথে অনেকেই নিজেকে যুবলীগ দাবি করে। কিন্তু আমাদের কোনো নেতাকর্মী সেখানে ছিলেন না।