বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন পর্যায়ে চলে গিয়েছে, বিশেষ করে নেতাকর্মীরা অনেক সময় নিজেদের পরিচয় দিয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে তাই কান্ড করে থাকেন। এই দৃশ্য শুধু দেশের এক স্থানে নয়, দেশের অনেক স্থানে দেখা যায়। এবার এক পুলিশ সদস্যকে ক্ষমতার আ.লীগের নেতাকর্মী বলে বে”দম পে”টালেন ১০-১২ জন যুবক।
রাজধানীর বেইলি রোডে মোটর সাইকেলে করে ১০ থেকে ১২ জন যুবক উল্টোপথে ছুটছিল। এ সময় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সহকারী পরিদর্শক (এসআই) মিরাজ হোসেন রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় তারা মোটরসাইকেলটি তার শরীরের ওপর তুলে দেয়।
মিরাজ তাদের জিজ্ঞেস করে, ওরা উল্টো পথে যাচ্ছেন কেন? এমনিতে উল্টোপথে, আবার ধাক্কাও দিচ্ছেন। কথা শেষ হওয়ার আগেই দুজনে বাইক থেকে নেমে অন্ধের মতো করে কিল-ঘু”/সি মা”/রতে থাকেন।। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরও ৮ থেকে ১০ জন তাকে ঘিরে ধরে। এরপর পে”টাতে থাকে আমাকে আর বলেন, ‘ভাইকে চিনস নাই? আবার কথা বলিস।’
কে সেই ভাই? জানতে চাইলে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা মিরাজ নামের থানার এই সদস্য বলেন, তিনি যুবলীগের নেতা বলে জেনেছেন। ওই রাতে হাসপাতালে কয়েকজন এসে তাকে ‘সরি’ বলে। তিনি তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
এ ঘটনায় মিরাজ বাদী হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় সবুজ হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সাদা পোশাকে ছিলেন এই পুলিশ সদস্য।
তিনি জানান, তাকে মা”/রধরের পাঁচ মিনিটের মধ্যে রমনা থানা পুলিশের একটি টহল দল এসে আহ”/ত মিরাজকে উদ্ধার করে। পরে তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে হাসপাতালের অষ্টম তলায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্সরা বলছেন, ৩৪ নম্বর বেডের পুলিশ সদস্য মাথায় আঘা”ত পেয়েছেন। গতকাল শুক্রবার থাকায় সিটি স্ক্যান করা যায়নি। তিনি এখন আগের চেয়ে সুস্থ।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশকে মা”/রধরের অভিযোগে সবুজ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জে”লহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
তারা যুবলীগের নেতাকর্মী কিনা জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে কিছু বলা ঠিক হবে না।
এ ঘটনার পর এইচএম রেজাউল করিম রেজা যিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, রাজপথে এই ধরনের ঘটনা অনেক ঘটতে দেখা যায় যারা নিজেকে যুবলীগ দাবি করে কিন্তু আসলে তারা যুবলীগের কেউ নয়। আমরা যতদূর জানি যুবলীগের কোনো নেতাকর্মী এই ঘটনা ঘটায়নি। ঘটনাটি ঘটলেও অন্য কোনো ব্যক্তিরা এটা ঘটিয়েছে।