দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করতে না করতে পরিবহন ভাড়া বেড়ে গেছে অনেক স্থানে যার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। তবে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পণ্যদ্রব্যের দামের উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এটা স্পষ্ট, যার কারণে নিম্নআয়ের মানুষ বড় ধরনের বিপাকে পড়বে। তবে জ্বালানি তেলের দাম কি কারনে বৃদ্ধি করা হয়েছে সে বিষয়ে তেমন কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি মন্ত্রণালয। তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন সরকার সংশ্লিষ্টরা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, সরকার চোরাচালান ঠেকাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। ভারতের তেলের দামের সঙ্গে বাংলাদেশের তেলের দামের পার্থক্যের কারণে বাংলাদেশ থেকে তেল পাচার না করতে দাম বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, তেল কিনতে সরকারকে অনেক টাকা দিতে হয়, অনেক লোকসান দিতে হয়। প্রতি বছর সরকার জ্বালানির জন্য লোকসান দেয়। ভর্তুকি কমাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই তেলের দাম বেড়েছে। দেশে প্রতি লিটারে ৩৫-৪৫ টাকা বেড়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। জ্বালানির দাম বাড়লে ভাড়াও বাড়ে। তাই ভাড়া সহনীয় রাখতে সরকার কাজ করছে।
সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ডাঃ রহিমা খাতুন, সিভিল সার্জন ডাঃ মুনির আহমদ খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান খান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। .
তবে সরকার তেলের ওপর ভর্তুকি কমাতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিতে সরকারকে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দিয়েছে বলেও জানা যায়। তবে তেলের দাম বৃদ্ধিতে সরকার বড় ধরনের চাপে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।