ভারতের লোকসভার সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে, বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থানের পেছনে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলোর ওপর পড়তে শুরু করেছে। যদি এখনই এই সমস্যার সমাধান না করা হয়, তবে ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ বাংলাদেশ নিজেদের বলে দাবি করতে পারে।
ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, অধীর রঞ্জনের মতে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ এবং চব্বিশ পরগনার মতো মুসলিম প্রধান এলাকাগুলো বাংলাদেশ তাদের অংশ হিসেবে দাবি করতে পারে।
এ অবস্থায় তিনি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আর ঠুনকো রাজনীতি করবেন না। পশ্চিমবঙ্গ ধ্বংস হয়ে যাবে, দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতি ক্যান্সারের মতো। এখনই এটি নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন।”
অধীর রঞ্জন আরও উল্লেখ করেন যে, “আমি অনেক আগেই সতর্ক করেছিলাম, যদি বাংলাদেশের মৌলবাদীরা ক্ষমতার স্বাদ পায়, তারা পশ্চিমবঙ্গের দিকে হাত বাড়াবে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং দিনাজপুরের মতো এলাকায় মুসলিমরা সংখ্যাগুরু। মুর্শিদাবাদে প্রায় ৭০ শতাংশ মুসলিমের বসবাস। ভবিষ্যতে তারা এই এলাকাগুলোকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দাবি করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ইরাক এবং সিরিয়ার মতো দেশগুলোতে আইএস সৃষ্টি হয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল সাম্রাজ্য বিস্তার করা এবং খলিফা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যদিও ইসলামে এমন কোনো আদর্শ নেই। এটি মৌলবাদের প্রকৃতি। পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের মৌলবাদী কার্যক্রম যদি এখনই রোখা না যায়, তবে আগামী দিনে বাংলাদেশের মতো দাবির মুখে পড়তে পারে বাংলার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলো।”
অধীর রঞ্জন চৌধুরী ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় মুর্শিদাবাদের দুই দিনের জন্য পাকিস্তানের অংশ হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “তখনকার মুসলিমরা এই অঞ্চলকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে দাবি করেছিল। আজকের প্রেক্ষাপটে এই অঞ্চলের মুসলিমরা নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। এটি ভবিষ্যতে আরও জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।”