প্রেমের ফাঁদে ফেলে বয়স্ক লোকদের বিপাকে ফেলেন এমন একটি চক্রের কিছু সদস্যকে আটক করেছেন পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে এই জঘন্য কাজের সাথে এই সদস্যগুলো জড়িয়ে রয়েছেন বলে স্বীকার করেছনে আটকৃত ব্যাক্তিরা। এই ঘটনা সফল করতে সার্বিক সহায়তার জন্য মুখ্য ভুমিকা পালন করেন এক দম্পতি। নিজের স্ত্রীকে ব্যাবহার করেন অন্যেকে প্রেমের ফাদে ফাঁসাতে।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডেকে আনা হয় বাসায়। পরে আপত্তিকর অবস্থায় তোলা হয় ছবি, ধারণ করা হয় ভিডিও। সাংবাদিক ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা। রাজধানীতে এ রকম একাধিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, চক্রটির টার্গেট পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি। সাইফুল ইসলাম ও বিথী আক্তার দম্পতি। বিথী বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক তৈরি করেন ফোনে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ডেকে আনেন বাসায়। আর সাইফুল দলবল নিয়ে হাজির হন তখনই। টার্গেট ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তোলা হয় আপত্তিকর অবস্থায়। জোর করে ধারণ করা হয় ভিডিও। পরে সাইফুল নিজেকে পরিচয় দেন সাংবাদিক আর দলের অন্যদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এ দম্পতিসহ চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ তাদের অপকর্ম সর্ম্পকে জানতে পারে। সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে এ জঘন্য কাজটি চালিয়ে আসছিলেন তারা। সংবাদ মাধ্যমের কাছে অকপটে স্বীকার করে তারা বলেন, প্রথমে টার্গেট করে বাসায় নিয়ে এসে মেয়ের সঙ্গে রুম দিই।
সেখানে আপত্তিকর কাজ করার পর ভিডিও ধারণ করি। পরে সাংবাদিক বা প্রশাসনের ভয় দেখাই। থানায় ফোন করব বা থানায় নিয়ে যাব- এ ধরনের কথা বলি। এতে মান সম্মান বাঁচাতে ভুক্তভোগীর একটা লোভনীয় প্রস্তাব দেন। তাদের হাতে প্রতারণার শিকার অনেকেই মান সম্মানের ভয়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে নিস্তার পেয়েছেন। পুলিশ বলছে, বয়স্ক ব্যক্তিদেরই মূলত টার্গেট করে চক্রটি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, আমরা এখানে এক দম্পতিকে ধরেছি, যারা ২০১৫ সাল থেকেই এরকম কাজ করে আসছেন। এর মধ্যে তারা দুবাই গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজের একটা শ্রেণি অতিরিক্ত ফূর্তির তাগিদ বোধ করতে গিয়ে তাদের পেছনে ছোটেন। আর তাদের এমন ভীমরতিকে কাজে লাগিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অনেক প্রতারক আছেন। আমরা এখন হয়তো ৫ জনকে ধরেছি। এদের সঙ্গে হয়তো আরও কেউ জড়িত থাকতে পারেন। তারা হয়তো আরেকট গ্রুপ বানিয়ে ফেলেন। এ ধরনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের দায় রয়েছে জানিয়ে সর্তক হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।
উল্লেখ্য, প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হওয়া প্রেমিকদের বিপাকে ফেলছেন এক দম্পতি। সামাজিক মাধ্যমে একটু বয়স্ক লোকদের টার্গের করে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন এক দম্পতি। তার পর স্ত্রীর সাথে জোরপুর্বক আপত্ত্বিকর অবস্থায় কাজ করিয়ে প্রমান স্বরুপ ভিডিও ধারন করে নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকে অর্থ আদায় করেন। এমন জঘণ্য কাজের সাথে বহুদিন ধরে লিপ্ত থাকার কথা শিকার করেছেন এই দম্পতির দুজনেই।