বহিরভূত সম্পর্কের কারনে এই পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক দাম্পত জীবন নষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্বের অনেকে দেশে এই সম্পর্ককে বৈধ ঘোষনা করলে বাংলাদেশে নয়। সম্প্রতি এমন একটি বহিরভূত সম্পর্কের কথা যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচায়ান আসে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রংপুরের লালমনিরহাটে ছয় বছরের এক সন্তানকে রেখে ভাগ্নিনার হাত ধরে নিখোঁজ হয়েছেন মামি।
হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে মেয়ের স্কুল ড্রেস কিনতে ভাতিজিকে নিয়ে পালিয়ে যায় মামি। বিভিন্ন স্থানে স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে খুঁজে না পেয়ে স্বামী আব্দুল্লাহ স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, সেলিনা আক্তার তার স্বামীর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সাফিউল ইসলামকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সেলিনা আক্তার (২৫) উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের একাব্বর আলীর মেয়ে।
ভাতিজি সাফিউল ইসলাম সাফি (১৮) একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুলাল হোসেনের ছেলে। সে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী। আব্দুল্লাহর শ্যালক আনছার আলী জানান, সেলিনা ও ভাগ্নি শফির মধ্যে গত দুই বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বহুবার সালিশ করা হয়েছে। 3মাসখানেক আগে ওই এলাকায় সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়নি।
সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, সেলিনা তার ৬ বছরের মেয়েকে রেখে কীভাবে পালিয়েছে? সে তার মাকে ফিরে পেতে চায়। মায়ের জন্য কান্না কাটিও করছে। অভিমান করে বসে আছে মা আসলে তার সাথে কথা বলতে চায় না। চলে যাওয়ার সময় আমার সব টাকা নিয়ে গেছে, এখন আমি অসহায়। আমি কীভাবে লোকেদের আমার মুখ দেখাব বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আবদুল্লাহ ২০১৫ সালে সেলিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। গত দুই বছর ধরে আবদুল্লাহর চাচাতো বোন বুলবুলি বেগমের ছেলে শফিউল ইসলাম সাফির সঙ্গে সেলিনা আক্তারের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চলে আসছে। সেই প্রেমের জেরে বৃহস্পতিবার বাড়িতে রাখা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় সে। এখন পর্যন্ত মামি ও ভাগ্নির খোঁজ মেলেনি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় সেলিনার স্বামী আব্দুল্লাহ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।