বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে সৌদি সরকার। গতকাল জেদ্দায় অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়া অংশ নেন।
সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণের প্রস্তাবকে সৌদি মন্ত্রী ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে বলেন, সৌদি সরকারের এতে কোনো আপত্তি নেই। তবে এর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ২০২৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ২-৩ হাজার হজযাত্রী সমুদ্রপথে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
সৌদি মন্ত্রী হজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি উন্নত করার নিশ্চয়তা দেন এবং হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের জন্য মাল্টিপল ভিসা ইস্যু নিয়েও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।
বৈঠকে রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় লাগেজ হারানোর সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন সৌদি মন্ত্রী। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের জন্য এজেন্সি প্রতি ২৫০ জনের কোটা পুনর্বিবেচনার অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেন।
সৌদি মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা এবং মহাপরিচালক বদর আল সেলামী। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশ নেন ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, এবং জেদ্দা কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, সমুদ্রপথে হজযাত্রা শুরু হলে এটি বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।