ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে কোনোভাবেই সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিপ্লব কুমার বলেন, জামায়াতের প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্স আছে। দলটি না”শকতার অভিযোগে অভিযুক্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের অতীত কর্ম খুবই জঘন্য। তারা সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হ”ত্যা করেছে। পুলিশকে আগুনে পুড়িয়ে মে”রেছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, সমাবেশ-মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে এখনো কোনো ভয় নেই। তিনি বলেন, আমরা সতর্ক আছি। আমরা সজাগ রয়েছি।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ সম্পর্কে বিপ্লব কুমার বলেন, আমরা সবাইকে চিঠি দিচ্ছি এবং দেব। রাজনৈতিক নেতাদের উচিত জনগণের কথা ভেবে রাজপথে নয়, মাঠে সমাবেশ করা। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সমাবেশ করতে চায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। গত শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ। পরে গত শনিবার চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন রাজধানীর শাপলা চত্বরে গণসমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি দেয় জামায়াত। চিঠিতে দলটি উল্লেখ করে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আলেমদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ করতে চায় তারা।
২০১২ সালে ৭১ জন মানবতাবিরোধীদের বিচার শুরু হলে জামায়াতের প্রায় সব শীর্ষ নেতাকে বিভিন্ন সাজা দেওয়া হয়। তাদের কয়েকজনের মৃ”ত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এরপর থেকেই মূলত রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি।
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থানের কারণে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। ২০১৮ সালে, দলের নিবন্ধন বাতিল করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল।
আদালতে নিবন্ধন হারানোর পর দীর্ঘদিন কোনো জনসভা করেনি দলটি। নিবন্ধন না থাকায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি জামায়াত।