রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন-নবী খান সোহেল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ ১৭ নেতাকর্মীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুর রশিদ হাবিব, আরিফুল হক আরিফ, খন্দকার এনামুল হক এনাম, মশিউর রহমান বিপ্লব, মো. রেফাত উল্লাহ, আবদুস সালাম, আলমগীর কবির সাইদুর রহমান, কামাল হোসেন, মো. সুমন, আবদুল্লাহ আল মামুন, সোবহান মিয়া, রাজীব আহসান, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ আলমগীর হোসেন ও আবদুস সালাম (পিতা কফিল উদ্দিন)।
আসামিদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নীরবকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মজনুকে কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে আদালতে হাজির দেখানো হয়। এই দুজনকে আদালত সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেছেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আসামিদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নীরবকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মজনু কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজির হন। এ দুজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবৈধ সমাবেশ করে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়।
এ ঘটনায় পল্টন থানা পুলিশ ১৭ বিএনপি কর্মী ও অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তদন্ত শেষে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে আদালত।
মামলা চলাকালে আসামি শফিউল বারী বাবু মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে বাকি ২৪ আসামিকে খালাস দেন আদালত।