সম্প্রতি জাতীয় পার্টির আভ্যন্তরীন কন্দোলে বিষয়টি সামনে আসায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় প্রশ্ন আবারও কি দলে ভাঙনের সুর বাজচ্ছে। একের পর এক দলের নেতাদের অব্যাহতির কারনে জাতীয় পার্টি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করা হয়। তবে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, তাদের মধ্যে কোনো বিভেদের সৃষ্টি হয়নি বরং আগের থেকে দল সাংগঠনিক ভাবে মজবুত হয়েছেন। তিনি বলেন, একক ভাবে আগামী নির্বাচন করবে তার দল।
ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের নেত্রী বেগম রওশন এরশাদের উদ্দেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। একটি শক্তিশালী জাতীয় দল গড়তে আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করব। প্রয়োজনে আমি অপ্রিয় কি/ছু সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করব না।
তিনি বলেন, আমরা কেউ কেউ মনে করি একটি দল নির্বাচনে কারচুপি করে শর্টকাট পদ্ধতিতে তাদের মন্ত্রী-এমপি বানাবে। যারা মনে করেন এটা তারা জাতীয় পার্টির জন্য জীবাণু। তাদের দল ত্যাগ করতে হবে নয়তো সংশোধন হতে হবে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে ময়মনসিংহ জেলার জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ফখরুল ইমাম।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সঙ্গে নেই। কারো সাথে বন্ধুত্ব করা যায় কিন্তু জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না।
আমরা দেশের মানুষের জন্য কথা বলি, দেশের ভালোর জন্য রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি দেখে অনেকেই মনে করেন আমরা অন্য কারো সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা আসলে জা/তীয় পার্টির রাজনীতি করছি। কারও নাকে খ/ত দিয়ে রাজনীতি করব না। জাতীয় পার্টির রাজনীতি কারো দালালি করার জন্য নয়।
‘বড় গাছের ছা/য়াতলে থাকলে ছোট গা/ছ বেড়ে উঠতে পা/রে না। বড় গাছের ছায়ায় না থাকলে ঝড় আসে, সেগুলো মো/কাবেলা করে রুখে দাঁ/ড়াতে হয়। জাতীয় পার্টি কারো ছা/য়া তলে যাবে না। তাই ঝড়-ঝাপটা আসবে। সকল ষ/ড়যন্ত্র মোকাবেলা করে একটি শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলব।
ফখরুল ইমাম এমপি বলেন, গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপির নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টিতে বিভেদ সৃষ্টির সুযোগ কারোর নেই। পল্লীবন্ধুর সৈনিকরা কোনো ষ/ড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করবে না।
চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ বলেন, যারা দলের বিরুদ্ধে ষ/ড়যন্ত্র করবে, তাদের ইতিহাসের খপ্পরে ফেলা হবে। বেগম রওশন এরশাদ ৯ মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পক্ষে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া বা কাউন্সিল করা সম্ভব নয়।
সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন মুক্তি বলেন, রওশন এরশাদের ভুল সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টি ধ্বং/স হয়ে যাবে তা আমরা মেনে নেব না। ময়মনসিংহে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। আমরা হামলাকে ভয় পাই না। আমরা কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টি জনগণের পাশে আগে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে মন্তব্য করেন পার্টিরি চেয়ারম্যন জিএম কাদের। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।