Wednesday , December 25 2024
Breaking News
Home / Abroad / ব্রিটেনের নেওয়া পদক্ষেপে বড় ধরনের সুখবর পেল বাংলাদেশ

ব্রিটেনের নেওয়া পদক্ষেপে বড় ধরনের সুখবর পেল বাংলাদেশ

দীর্ঘ সময় ধরে গোটা পৃথিবী জুড়ে্ বিরাজ করছে বৈশ্বিক মহামারি। এই মহামারির কবলে পড়ে বিশ্ব জুড়ে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের সংকট। বিশ্বের ধনী দেশ গুলো নাজেহাল অবস্থায় পতিত হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারির কবলে পড়ে কেয়ার ওয়ার্কার সংকটে ভুগছে ব্রিটেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটি কেয়ার স্টাফদের জন্য ভিসানীতি শিথিল করছে ব্রিটেন। এতে করে বাংলাদেশীরাও সূবর্ন সুযোগ পেয়েছে।

কেয়ার স্টাফদের জন্য ভিসানীতি শিথিল করছে ব্রিটেন। তার মানে নতুন করে কেয়ার ওয়ার্কার আসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে ব্রিটেনে। এই ভিসার আওতায় বাংলাদেশ থেকেও অনেকে আবেদন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে কেয়ার ওয়ার্কারদের জন্য শিক্ষা ও কাজের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে। ব্রিটেনে করো/না/কা/লীন কেয়ার ওয়ার্কার সংকট চলছে। তাছাড়া বেক্সিটের কারণে অনেক কর্মী চলে গেছেন। এরই মধ্যে ব্রিটেনে কেয়ার ওয়ার্কার, কেয়ার এসিসটেন্স এবং হোম কেয়ার কর্মীদের জন্য অভিবাসন নিয়ম শিথিল করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে স্বিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে বলা হয়েছে, কর্মীদের শূন্যতা পূরণের জন্য বিদেশ থেকে হাজার হাজার অতিরিক্ত কেয়ার ওয়ার্কার নিয়োগ করা হবে। কেয়ার কর্মীদের শূন্যতা তৈরি হচ্ছে এবং টার্নওভারের সম্মুখীন হচ্ছেন। এ ছাড়া ও/মি/ক্র/নে/র কারণে কর্মীদের ওপর বাড়তি চাপ বাড়ছে। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে কর্মীদের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার কমেছে। গবেষকরা বলেছেন, স্টাফ সংকটের কারণে দুর্বল বয়স্ক ব্যক্তিদের কেয়ার হোমগুলো বন্ধ হচ্ছে।

আর এ কারণে শূন্যতা পূরণ করার জন্য কেয়ার কর্মীদের হোম অফিসের ঘাটতি পেশার তালিকায় যুক্ত করা হবে। তার মানে এ খাতে বাইরে থেকে কর্মী আনার তালিকায় যুক্ত করা হবে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটেনের বাইরে থেকে আসা কর্মীদের বছরে ২০ হাজার ৪৮০ পাউন্ড বেতন দেওয়া হবে। কেয়ার ওয়ার্কার তাদের পরিবার মানে স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানসহ ব্রিটেনে আসার ভিসা পাবেন। আরও বলা হয়েছে, আগামী বছর যে কোনো সময় নতুন নিয়মগুলোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে কেয়ার ওয়ার্কারদের ক্ষেত্রে ১২ মাসের ভিসার সুযোগ থাকবে। স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, কেয়ার খাত করোনা মহামারির কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে এবং সরকার স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ভিসায় যে পরিবর্তন করছে তা কর্মশক্তিকে শক্তিশালী করবে। বর্তমানে যে চাপের মধ্য দিয়ে সরকার যাচ্ছে তা অনেকটাই দূর হবে। ন্যাশনাল কেয়ার ফোরামের চিফ এক্সিকিউটিভ ভিক রেনার বলেছেন, এ পদক্ষেপ নতুন বছরের জন্য আশার ঝলক। অতিরিক্ত দক্ষ কর্মী প্রয়োজন, যা নতুন এই নিয়মের কারণে পাওয়া সম্ভব হবে।

প্রতিবছরেরই বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য নাগরিক জীবিকার উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়ে থাকে। তবে গত দুই বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রবেশে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বিদেশে যাওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। তবে বর্তমান সময়ে অনেক দেশই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ক্রমশই বাড়চ্ছে বিদেশে পাড়ি জমানো ব্যক্তিদের সংখ্যা।

About

Check Also

প্রবাসীদের জন্য সুখবর, সহজেই মিলবে ইতালি থেকে আমেরিকার ভিসা

বর্তমানে প্রায় ১৪০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ইতালিতে অবস্থান করছেন। যাদের অনেকেই দেশ থেকে অন্য দেশে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *