Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ব্রিজ গায়েব করলো ইউপি চেয়ারম্যান, বিপাকে পড়লেন মুনসুর

ব্রিজ গায়েব করলো ইউপি চেয়ারম্যান, বিপাকে পড়লেন মুনসুর

বাংলাদেশে পারাপারের অযোগ্য অনেক সেতু রয়েছে। তবে সেটা সংস্করণ বা পুনর্নির্মাণ করা সম্পূর্ণ সরকারের দায়িত্ব। আর সেটিকে রক্ষা করা এক জন্য ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারের দায়িত্ব সেটি যেন সুন্দর ভাবে সংস্করণ হয় সেটির দিকে লক্ষ্য করা। তবে সম্প্রতি এক ইউপি চেয়ারম্যানের নামে দুই দুটি ব্রিজ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ঝালকাঠির পুরাতন সেতুর লোহার মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল ( Md. Abul )  বাসার খানের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে  ট্রাকে করে বরিশালে যাওয়ার পথে দেড় টন লোহার মালামাল জব্দ করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ  গিয়ে মালামাল জব্দ করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিজ থেকে লোহার জিনিসপত্র বিক্রি করায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে মালামাল বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, নয়াখাল ব্রিজের সামনে খালের দুটি লোহার সেতু ও পোনাবালিয়া ইউনিয়নের আলমগীর হাওলাদার ( Alamgir Hawladar ) বাড়ির বার্ধক্যজনিত কারণে ভেঙে পড়েছে। ২০২১ সালে, এলজিইডি ( LGED ) দুটি নতুন সেতু নির্মাণ করেছে। চিলারিশ ( Chilarish ) গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে পুরনো দুটি ব্রিজ ভেঙে দেড় টন লোহার মালামাল রাখা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান ( Abul Basar Khan ) জানান, নলছিটি ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী গোপনে মালামাল বিক্রি করেন। তিনি তা মুনসুরের ( Munsur ) কাছে সাত হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। সোমবার বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে পোনাবালিয়া ফেরিতে লোহার মালামাল বহনকারী মুনসুরকে একটি ট্রাক সহ আটক করে স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ট্রাকের মালামাল জব্দ করে। ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মোঃ মুনসুর জানান, পোনাবালিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে ফোন করে বলেন কিছু মালামাল বিক্রি হবে। তিনি লোহার জিনিসপত্র সাড়ে সাত হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আমাকে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ও পুলিশ এসে ট্রাকটি আটক করে। আমি তাদের সত্য বলেছি।

পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নান্না খলিফা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান অবৈধভাবে পুরনো ব্রিজের লোহার মালামাল তার বাড়িতে রেখেছেন। কোনো রেজ্যুলেশন ছাড়াই মালামাল ঘরে রেখে দেন। কাউকে না জানিয়ে গোপনে দেড় টন লোহার মালামাল বিক্রি করেন। চেয়ারম্যান অন্যায় করেছেন, তার বিচার চাই।

গ্রাম পুলিশ মিন্টু হাওলাদার জানান, মালামাল চেয়ারম্যানের বাড়িতে ছিল। আমি জানি না এগুলো কিভাবে বের হলো। পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল বাসার খান বলেন, আমার কাছে সেতুর কোনো সামগ্রী নেই। আমি তাদের বিক্রিও করিনি। একটি চক্র আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

ঝালকাঠি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খোকন বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে সরকার সেতুর লোহার মালামাল ট্রাকে করে পরিবহন করছে। আমরা এর সত্যতা যাচাই করতে এসে মালামালসহ ট্রাকটি আটক করেছি। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝালকাঠি এলজিইডির একজন প্রকৌশলী বলেন, লোহার সেতুর লোহার মালামাল উপজেলা পরিষদের সম্পত্তি। বিক্রি করতে হলে উপজেলা পরিষদ সভা করে বিক্রি করবে। ইউপি চেয়ারম্যান বিক্রি করতে পারবেন না।

এই ঘটনা সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেকে র্নিদোষ বলে দাবি জানিয়ে বলেছেন এই ঘটনায় সে জড়িত নয় । উপযুক্ত প্রমান না থাকায় তার বিরুদ্ধে এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সে এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এসআই মো. খোকন।

About Nasimul Islam

Check Also

ভারতের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ফাঁস, বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *