বর্তমান সময়ে নির্বাচন কমিশন একটি বিষয়ের মুখোমুখি হচ্ছে, আর তা হল ভোট ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে হবে কিনা? তবে নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যদি সমঝোতায় আসে এবং এক সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন। আজ বুধবার অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল এ ধরনের তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ১৪ আগস্ট সিইসি বলেছিলেন, কারও বিরোধিতা বা দাবির কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না। ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কমিশনের নিজস্ব।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিইসি সাফ জানিয়ে দেন, সবার মতামত পর্যালোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এই মেশিন দিয়ে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে (২৩ আগস্ট) কমিশন ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর ইভিএম নিয়ে আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মাঠ। কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে বিরোধী শিবিরে। তাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ইসি ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কারও ইচ্ছায় প্রভাবিত নয়, কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, কেউ যদি ভোটকেন্দ্রে বসে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য না করে, তাহলে এই মেশিনে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন সিইসি।
এ সময় তিনি ইভিএমে ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জানান।
গত ২৩ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তবে নির্বাচন কমিশন ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর টানাপোড়েনের মাঝে ঠিক কি ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাও বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। তবে শেষ পর্যন্ত কিছু আসনে ইভিএম মেশিনে এবং অধিকাংশ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ব্যালটে, এমনটি মনে করছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ব্যালটে ভোট গ্রহণের বিষয়টি দাবি করেছেন। দলগুলো মনে করে ইভিএম মেশিনে ভোট কারচুপি সম্ভব।