ব্যারিস্টার সুমন হলেন বাংলাদেশের একজন খুব পরিচিত একজন মুখ। তিনি ব্যারিস্টারি পেশার সঙ্গ সঙ্গে তিনি সহযোগিতা ও প্রতিবেদনমূলক অনেক কাজ করে থাকেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা এবং পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তার প্রতিকারের জন্যও কাজ করে যান। সম্প্রতি জানা গিয়েছে ফরিদপুরে ব্যারিষ্টার সুমনের খেলা দেখতে গিয়ে উৎসুক দর্শক টিনের চাল ভেঙ্গে নিচে পড়েছে।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন তার ৪৩তম জন্মদিন পালন করেছেন ফরিদপুরে গিয়ে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশ নিয়ে। আর এই ফুটবল ম্যাচ দেখতে মাঠে আসেন প্রায় অর্ধকোটি মানুষ।
মাঠের চারপাশে দর্শকদের ভিড় আশেপাশের ভবন, টিনের চাল আর উঁচু গাছে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে দর্শকদের চাপে মাঠের দক্ষিণ পাশের একটি টিনের ঘরের ছাদ ভেঙে পড়ে।
শনিবার বিকেলে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ খেলার আয়োজন করে আনোয়ারা-মান্নান বেগ ফাউন্ডেশন।
খেলায় সিলেটের ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ও চর সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্পোর্টিং ক্লাব অংশ নেয়। উভয় দলেই জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় অংশ নেন।
খেলা শুরুর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবলের প্রতি ফরিদপুরবাসীর বিশেষ ভালোবাসার প্রশংসা করে বলেন, আমার জন্মদিনে এই মাঠে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতি দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। মাঠে ঢোকার আগে আমার স্ত্রী আমাকে ডেকে বললেন, “তুমি কি আমার জন্মদিনে আমাকে ছেড়ে চলে গেলে? আমি তোমার না ফরিদপুর বেশি তোমার?”
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি স্ত্রীকে বলেছি, তুমি আমার স্ত্রী, বিপদে পড়লে আমাকে একা রেখে যাবে; কিন্তু ফরিদপুরের মানুষ একবার কাউকে ভালোবাসলে কখনো ছাড়ে না। এই পদ্মসেতু আগে হলে ফরিদপুরের সঙ্গে সিলেটের অনেক দাম্পত্য সম্পর্ক গড়ে উঠত। আমি আমার এলাকার মুরুব্বিদের বলব, পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় এখন খুব সহজেই ফরিদপুরে আপনার সন্তানদের বিয়ে দিতে পারবেন। তিনি সবাইকে খেলাধুলা ও পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার অনুরোধ জানান।
৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়। পরে উভয় দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা কবির ত্রপা, আনোয়ারা-মান্নান বেগ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মহসিন বেগ, চরভদ্রাসন থানার ওসি রিন্টু মন্ডল, ফুটবল ম্যাচের আয়োজক মুজাহিদ বেগ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
আনোয়ারা-মান্নান বেগ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মহসিন বেগ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় এত বড় মাপের ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়নি। এলাকার যুব সমাজকে মাদক ও সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখতে আমরা এ আয়োজন করেছি।
প্রসঙ্গত, ব্যারিষ্টার সুমনের বিভিন্ন প্রতিবেদনমূলক কাজের মাধ্যমে তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে অতি পরিচিত হয়ে উঠেছেন বাংলার মানুষের কাছে। তিনি এখনো নানাপ্রকারের প্রতিবেদনমূলক কাজ করে যাচ্ছেন এবং সেই সাথে তার পরিচিতি আরো অনেক বেড়ে যাচ্ছে।