দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ব্যারিস্টার সুমন দুদককে নিয়ে যে ভিত্তিহীন কথা বলেছেন তা আমরা আমলে নিইনি। আমলে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ব্যারিস্টার সুমনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খুরশীদ আলম খান এসব কথা বলেন, ক্ষমতাবান ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গেলে সেই তদন্তকাজ আর আগায় না।’
দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘শুনানির সময় আমি যখন আদালতকে বলেছি যে বিষয়টি দুদকের কাছে দিয়ে দেই তখন মাই লর্ড বলেছেন দুদকের কাছে দিলে বিষয়টি লম্বা হয়ে যায় কি না? বিষয়টি যত শর্ট করা যায়, ততই ভালো। রাষ্ট্র যেন এখানে লাভবান হয়। ৬শ কোটি টাকা যত দ্রুত পাইতে পারে। পরে আমি বললাম মাই লর্ড আপনি যথার্থ বলেছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ক্ষমতাধর ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত আর এগোবে না।
বোরাক টাওয়ারের একটি মামলার শুনানি নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, শুনানির সময় আমি যখন আদালতকে বলেছিলাম বিষয়টি দুদকের কাছে হস্তান্তর করব তখন আমার লর্ড বলেন, আমি দুদকে দিলে বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয় নাকি? বিষয় যত ছোট, তত ভালো। রাষ্ট্রের এখানে লাভবান হওয়া উচিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ৬০০ কোটি টাকা। পরে বললাম আমার প্রভু আপনি ঠিক বলেছেন।
“সম্প্রতি সালাম মুর্শিদীর বিরুদ্ধে মামলায় দুদক অসংখ্যবার টাইম নিয়েও দুদক রিপোর্ট দিতে পারল না। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো মানুষ বিচারের জন্য দুদকের কাছে যায়। এখন ন্যায় বিচারের স্বার্থে দুদকে আর যাওয়া হবে না। দুদকের কাছে যাওয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অবস্থা দেখেছি। একটু শক্তিশালী হলেই দুদক আর আগায় না। দুদকের কাছে ফাইল গেলেই তা বাক্সবন্দি হয়ে যায়। প্রভাবশালীরা মনে করেন কখন আমার ফাইল দুদকে যাবে। দুদকে গেলেই তো আমি বেঁচে যাই।’
তিনি আরও বলেন, আদালত বলেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাউকে দাঁড়াতে হবে। ভারতের আন্না হাজারে যখন দাঁড়িয়েছিলেন, ভারতে বড় কিছু ঘটছে। আপনি যেমন কাজ করছেন সেভাবেই কাজ করে যান।’