লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় উপজেলায় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে’সবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারনে মারুফ হাসান নামের এক ২৪ বছর বয়সী ছাত্রলীগ নেতাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নুরুল আমিন নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার এই ধরনের হু’মকির অভিযোগে রাতে হাতীবান্ধা থা’/নায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দা’য়ের করেন ঐ ছাত্রলীগ নেতা। অভিযোগ করা ঐ নেতা বলেন, রাত ১০টার দিকে তার মোবাইল নম্বরে কল করে হুমকি দেন চেয়ারম্যান।
অভিযুক্ত নুরুল আমিন হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। মারুফ হাসান মিরু উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে মিরু তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে তিনি লিখেন ‘রাজাকার আব্দুল গফুরের ছেলে সাবেক শিবির নেতা নুরুল আমিনকে ইউপি নির্বাচনে সিন্দুর্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে যেন দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না হয়।’ এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর রাত ১০টার দিকে নুরুল আমিন ফোন করে হিরুর প্রাণ না’/শের হুম’কি দেন।
মারুফ হাসান মিরু বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যেন সিন্দুর্না ইউনিয়নে কোনো রাজাকার পুত্রকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না হয় সে নিয়ে আমি একটি স্ট্যাটাস দেই। সেই প্রেক্ষিতে সিন্দুর্না ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন তার মোবাইল নম্বর থেকে আমার নম্বরে কল করে প্রাণনা’শের হুম’কি দেন। আর বলেন ব্যাটা সামলে চলিস, তোর অবস্থা খারাপ করি দিবো।’
তিনি নুরুল আমিনকে তালিকাভুক্ত রাজাকার আবদুল গফুরের ছেলে বলে দাবি করেন। তিনি এই ঘটনার পর তার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দাবি করেন।
সিন্দুরনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, “আমি তো শুধু কথা বলেছি, কোনো ধরনের হুম’কি দেইনি। এটা মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাছাড়া আমার পরিবারে কেউ কোনো দিন রাজাকার ছিল না, তালিকায় নাম যেটা উঠেছে সেটা এডিট করে উঠানো হয়েছে।’
এরশাদুল আলম যিনি হাতীবান্ধা থা’/নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে রয়েছেন তিনি এ বিষয়ে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত করার পর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।