বর্তমান ছাত্রলীগ কর্মীদের ভিতরে অনেকেরই নামে আসছে বিতর্কিত মন্তব্য। বিভিন্ন ধরনের সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে প্রায় সময়ই। কিন্তু এটা এক ভিন্ন রকম অভিযোগ যেখানে ছাত্রলীগকর্মী একজন ছিনতাইকারী। কুলুষিত বাংলাদেশে রাজনীতির নেতাকর্মীদের এমন অবস্থা আসলেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বাংলাদেশকে।
বগুড়ার শাজাহানপুরে ক্ষুদ্রফুলকোট রাজারামপুর পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির প্রায় ৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রবিবার রাতে শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক দেওয়ান জানান, উপজেলার আমরুল ইউনিয়নে ক্ষুদ্রফুলকোট রাজারামপুর পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি বাধ ও খাল পুনঃখনন প্রকল্পের অধীনে ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দে কাজ করেছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত বরাদ্দের সব টাকা পাওয়া যায়নি।
রবিবার বিকেলে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে পাওনা পরিশোধের জন্য পাওনাদারদেরকে ডাকা হয়। সমিতির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বাদলসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ অগ্রণী ব্যাংক বি-ব্লক শাখায় এসে প্রকল্পের ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে ব্যাংক থেকে বের হন। এসময় পাওনাদার আবুল কালাম ও তার দুই ছেলে ফাহিম, মেশরাত, ফাহিমের সহযোগী মল্লিক, রিফাতসহ বেশ কয়েকজন এসে তার হাতে থাকা টাকার ব্যাগ ও ব্যাগে থাকা প্রকল্পের কাজের হিসাবপত্র এবং স্বাক্ষর করা ব্যাংকের ৩টি ব্লাংক চেকসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনতাইকারীরা ছাত্রলীগ করে। মেশরাত উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। ছাত্রলীগ নেতা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রঞ্জুর হুকুমে তারা এই ছিনতাই করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সমিতির সভাপতি সরকার বাদল জানান, পাওনাদার আবুল কালাম মাষ্টার ৯৭ হাজার টাকা পাবেন। টাকা দেয়ার জন্য পাওনাদারদেরকে ডাকা হয়েছে। এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ। তবে এভাবে টাকা কেড়ে নেয়া ঠিক হয়নি। টাকা ও কাগজপত্র উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তদন্ত করার কথা। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। এখনো তদন্ত বাকি তারপরে তো টাকা উদ্ধার, আদতেও কতদূর যাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট কোনো কথা শোনা যায়নি। কারণ তাদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে এক সময় তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে পাশাপাশি প্রশাসনের তৎপরতা কতটুকু থাকে সেটা দেখার জন্য আমাদেরকে হয়তো কারো অপেক্ষা করতে হবে।