বিদেশ থেকে ফিরে তিনি দেখতে পান ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা উধাও। তিনি স্টেটমেন্ট বের করে দেখেন এই টাকা ১০টি মোবাইল ব্যাংকিং ডেভেলপমেন্ট নম্বরে পাঠানো হয়েছে। রাজশাহীতে এ ঘটনা ঘটেছে, যার জন্য ইস্টার্ন ব্যাংক রাজশাহী শাখার এক গ্রাহক সাইবার আদালতে মামলা করেছেন।
নিহত আতিকুর রহমান একটি বীমা কোম্পানির শাখা ব্যবস্থাপক। এ ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার সকালে মামলা করেন। তার পক্ষে আইনজীবী শাহীন আলম মাহমুদ আদালতে মামলা করেন। আদালতে এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা।
মামলার তথ্য তুলে ধরে বাদীর আইনজীবী বলেন, আতিকুর রহমান ব্যক্তিগত কাজে ১৫ আগস্ট ভারতে যান। ১৬ ও ১৭ আগস্ট তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়। তিনি ১৯ আগস্ট দেশে ফিরে আসেন। ৩ সেপ্টেম্বর তিনি টাকা তুলতে ব্যাংকে যান। তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, তার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্টেটমেন্ট দেয়। সেখানে দেখা যায়, ১০টি বিকাশ নম্বর থেকে টাকা তোলা হয়েছে। তার অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ টাকা।
এর মধ্যে ০১৭৩৩২৭৫১৬১ থেকে ২০ হাজার ৪০০ টাকা, ০১৭৯০১৪৫৪০২ থেকে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা, ০১৬৪০০৯৩৯২৩ এবং ০১৬৪০০৯৩৯২২ এবং ০১৭৮৭০২৮৩৩৩ , ০১৮২৭৪৭৪৭৪টো , ০১৮২৭৪৭৪টো , ০১৭৯০১৪৫৪০২ টাকা। ৫১৫৮০ , ০১৭৮ ৭০০৩৩৮০ এবং ০১৫১৭০০২৫৮৯ নম্বরে ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে বলা হয়, দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য ডলার এনডোর্স করতে তিনি ব্যাংকে গিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি ভারতে যাচ্ছেন বলে অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা জানতেন। আতিকুর সন্দেহ করেন, তার অনুপস্থিতিতে ব্যাংকের এক বা একাধিক কর্মকর্তা এই টাকা তুলে নিয়েছেন। প্রত্যাহারের বিষয়টি জানার পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশও প্রাথমিক তদন্ত করছে। এরপর মঙ্গলবার আদালতে মামলা করেন আতিকুর।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২৫ অক্টোবর ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত ইস্টার্ন ব্যাংকের রাজশাহী শাখাকেও পূর্ণ সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত. আদালতের আদেশের এই অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক আবির আহমেদ খান বলেন, ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের অনুমতি ছাড়া তিনি কিছু বলতে পারবেন না।