দিন দিন বেড়ে চলেছে অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে হার। কঠর নিরাপত্তা থাকা সত্যেও তার কোন তোয়াক্কা নেই এসকল অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের। সম্প্রতি, ভোলার লালমোহন কৃষি ব্যাংকে জানালার গ্রিল কেটে ঢোকার চেষ্টা করেছে চোর। ভল্ট ভাঙতে না পেরে ব্যাংকের বিভিন্ন ড্রয়ার ও শোকেস খুলে কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে যায়।
শুক্রবার রাতে লালমোহন পৌরসভার করিম রোডে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। রাতে খবর পেয়ে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জহুরুল ইসলাম হাওলাদার ও পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ব্যাংক পরিদর্শন করেছে।
এ সময় পুলিশ ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেন, চোর তার হাতে থাকা যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করছে। তবে খুলতে না পেরে আবার বেরিয়ে যান। ব্যাংক ব্যবস্থাপক. মোশাররফ হোসেন জানান, মাগরিবের পর তিনি ব্যাংক থেকে বাসায় যান। পরে নৈশ প্রহরী হাসান ফোন করে জানান, ব্যাংকে চোর ঢুকেছে। তিনি ব্যাংকে এসে বিভিন্ন ড্রয়ারে এলোমেলোভাবে কাগজপত্র দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
ঘটনার সময় হাসান নাইট ওয়াচের দায়িত্বে ছিলেন। রাত ৯টার দিকে তিনি খেতে বের হন। তিনি এসে পরিস্থিতি দেখে ম্যানেজারকে জানান। লালমোহন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেন বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে মামলা করতে বলা হলেও তিনি রাজি হননি। এরপরও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
অন্ধকারে চরের মুখ স্পস্ট না থাকায় চোরকে সনাক্ত করতে বিলম্ভ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। আসে পাসে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে চোরের উপস্থিতির কোন আলমাত পাওয়া যায় কিনা। এছাড়া অনেক সন্ধেহ ভজনকে জিজ্ঞাসা বাদও করছেন তারা।