জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, বাড়ি চাঁদপুর। রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে তার একটি পাইকারি মুদির দোকান ছিল। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখায় রাতের ব্যবধানে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তিনি বাজারের এক কোণে বসে পুড়ে যাওয়া দোকানের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই তা সারা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। যা সকাল ৯টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। স্থানীয় লোকজনও আছে।
জাহাঙ্গীর আলম দুলাল বলেন, ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এক বছর আগে দোকান দিয়েছিলাম। সব পুড়ে গেছে। আমি যে এভাবে নিঃস্ব হব তা কল্পনাও করিনি।
পাশের দোকানদার শওকত ট্রেডার্সের মালিক শওকত ইসলামও একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ভোরে আগুনের খবর পেয়েছি। কিন্তু এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মাল বের করার সময় পাননি ব্যবসায়ীরা। আগুন বাজারের একটি অংশ থেকে শুরু হলেও মুহূর্তের মধ্যে পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে।
মা এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী রানা জানান, মালামাল যে বের করবো সে অবস্থাও ছিল না প্রচণ্ড ধোঁয়ায় দোকানের ভেতরে যেতে পারিনি। চোখের সামনে সব শেষ হয়ে গেছে।
আগুনে কয়েক কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিশা জেনারেল স্টোরের মালিক মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারী জানান, প্রতিটি দোকানে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। পুরো মার্কেটে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান ছিল।
কীভাবে আগুন লাগল তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন ব্যবসায়ীরা। রাত ১০টার পর বাজারে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সে হিসেবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছেন তারা।
হক বেকারির মালিক জানান, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ রাতে বাজারে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকে। সেখান থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা কম।