ঢাকা ( Dhaka ) রাজধানীতে ‘বুটিক হাউস’ এর অন্তরালে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে শাহরুখ চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী দম্পতির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এ ঘটনাটি খুতিয়ে দেখতে শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এরই মধ্যে জানা গেল, এই দম্পতির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার সোনা পাচারের অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমতো দেশ ছেড়েছেন তারা।
রাজধানীর পিঙ্ক সিটিতে ‘লিনাস থাউজেন্ড থিংস’ নামে তাদের একটি বুটিক হাউস রয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে শাহরুখ চৌধুরীর ( Shah Rukh Chowdhury ) নামে।
এই বুটিক হাউসের ( Boutique House ) আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে দুবাই থেকে সোনা পাচারের অভিযোগ রয়েছে এই দম্পতির বিরুদ্ধে।
তাদের বিরুদ্ধে কাপড় কেনার নামে কোটি কোটি টাকা পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে খোঁজ শুরু হওয়ার পরপরই তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সংস্থা তাদের খোঁজ করছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
লিনাস থাউজেন্ডের ফেসবুক পেজ এত দিন চললেও এখন তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় সব পোশাকই পাকিস্তানি ও ভারতীয়। তবে এসব কাপড় কিনতে পরিবার নিয়ে তারা একাধিকবার দুবাই যেতেন। বিভিন্ন অবৈধ মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়ে দেশে আনার অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, শাহরুখ চৌধুরীর স্বামী সৈয়দ ওয়াসিকুল হককে ৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে ফেরার পথে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, বিদেশি মদ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যের একটি ওমেগা ব্র্যান্ডের ঘড়িসহ আটক করা হয়। পরে বিভিন্ন মহলের সুপারিশে তাকে জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে মুক্তি দিলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়।
জানা গেছে, তার স্বামী সৈয়দ ওয়াসিকুল হককে ছেড়ে দেওয়া হলেও তার পাসপোর্ট ও সাথে থাকা ক্রেডিট কার্ড অনুসন্ধানে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে। শাহরুখ চৌধুরী সংযুক্ত আরব আমিরাতের পিআর পাসপোর্টের (নং ২৬৭৩৪৮০৮) মালিক। পাসপোর্ট পর্যালোচনা দেখায় যে তিনি প্রায়শই সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেন। প্রতিবারই তিনি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে ঢাকায় ফিরতেন। এতদিন গোয়েন্দারা চোখ বুজে থাকলেও গ্রেফতারের পর বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
তবে এই মুহুর্তে শাহরুখ চৌধুরী নামে ঐ ব্যবসায়ী দম্পতি কোথায় অবস্থান করছেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের সন্তান পেতে রীতিমতো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।