রাতারাতি জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য মানুষের দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গেছে। অনেকে মানসিকভাবে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন যে সামনে কী হবে এমনটি ভেবে। সরকারের এই রাতারাতি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না সাধারন মানুষ। এ বিষয়ে অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সেইসাথে অস্বাভাবিক হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা গেট এলাকার পাঠাও রাইডার রাজীব বলেন, জ্বালানির দাম বাড়ায় এখন সবকিছুর দাম বাড়বে। গণতান্ত্রিক দেশে হঠাৎ করে তা বেড়ে যাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আপনি আমার প্রতিক্রিয়া জানতে চান। কি প্রতিক্রিয়া দেব বলেন? খুশিতে তো আত্মহনন করতে ইচ্ছে করছে।
তিনি বলেন, সব কিছুর দাম দিন দিন বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাতারাতি জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় তেল ব্যবসায়ীরা রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বাইক চালক বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে এমন সবই হচ্ছে। আমরা মেনে নিচ্ছি, মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছি। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০টায় হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, কেরোসিন ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং অকটেন ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে।
প্রসংগত, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবনে যে ব্যাপক প্রভাব পড়বে সেটা নিয়ে এখনই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষেরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্যের দাম দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা একটা আ”ত্মঘা/’তী সিদ্ধান্ত হিসেবেই মনে করছেন।