প্রাক্তন স্বামী আদিল খান দুররানি ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস করার অভিযোগে বলিউড ড্রামা কুইন রাখি সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় রাখির জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মুম্বাইয়ের একটি আদালত।
৮ জানুয়ারি অতিরিক্ত দায়রা জজ শ্রীকান্ত ওয়াই ভোঁসলে সাওয়ান্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তার জারি করা বিস্তারিত আদেশ শুক্রবার প্রকাশ করা হয়। আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে ‘রাখি সাওয়ান্তের কার্যকলাপগুলি কেবল অপরাধমূলক নয়, তার দ্বারা প্রকাশ করা বিষ’য়’ব’স্তু ‘অ”শ্লী”ল এবং ‘যৌ”ন অভিযোগ ভরা। ঘটনার সত্যতা, অভিযোগ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা গেছে, এ মামলায় রাখি আগাম জামিনের যোগ্য নন।
বিচারক আরও পর্যবেক্ষণ করেছেন, “রাখি সাওয়ান্তের আগের অপরাধমূলক ইতিহাস রয়েছে।” কারণ একই ধরনের অপরাধে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা বিচারাধীন ছিল।
প্রসঙ্গত, দুরানি অভিযোগ করেছিলেন যে ২৫ আগস্ট রাখি একটি টেলিভিশন শোতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার সাথে সম্পর্কিত যৌন বিষয়বস্তু দেখিয়েছিলেন। মোট দুটি ভিডিও দেখানো হয়েছে যার প্রতিটি ছিল প্রায় ২৫-৩০ মিনিট। পুলিশকে আদিল জানায় যে রাখি তার অশ্লীল ভিডিও প্রচার করে তার গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করেছে। আদিলের অভিযোগের ভিত্তিতে মুম্বাইয়ের আম্বোলি থানায় মানহানি ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে এই মামলায় রাখি সাওয়ান্তের আইনজীবী আলি কাশিফ খান মুম্বাই আদালতে আগাম জামিন চেয়েছিলেন। তার যুক্তি ছিল, যে ভিডিওটি দুরানি নিজেই তার ফোনে শুট করেছিলেন। যদিও তিনি এটা পুলিশের কাছে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন।
এদিকে পাবলিক প্রসিকিউটর আরসি সাভলে রাখি সাওয়ান্তের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, তিনি শুধুই টিভি শোতে আপত্তিকর ভিডিওসংবলিত ফোনটি প্রদর্শন করেননি, বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই ভিডিওগুলো শেয়ার করেছেন এবং লিঙ্কগুলো ফরোয়ার্ড করেছেন।
যদিও আদালতে জামিন খারিজের পর কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি রাখি সাওয়ান্ত।
এদিকে, গত বছরের ২৯শে নভেম্বর সাওয়ান্তকে গ্রেপ্তার থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দেয় আদালত। রাখির অন্তর্বর্তী সুরক্ষা পরে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল হাইকোর্টে যাওয়ার জন্য। তবে এবার রাখির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত, তাই প্রশ্ন উঠছে, রাখি কি এবার গ্রেফতার হবেন?