শেরপুরের শ্রীবরদীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী, শাশুড়ি ও শশুড়কে প্রাণনাশ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার খোশালপুরের পুথাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত মিন্টু মিয়াকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার গেরামারা গ্রামের হাইমুদ্দিনের ছেলে।
বোরকা পরে ঘরে ঢুকে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ তিনজনকে কু// পিয়ে প্রাণনাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রয়াতরা হলেন- মনিরা বেগম (৪০), তার মা শেফালী বেগম (৬০) ও চাচা মাহমুদ হাজী (৬৫)। আহতরা হলেন- প্রতিবেশী আহাদ আলীর স্ত্রী বাচ্চুনি বেগম (৫২) এবং মনিরার আত্মীয় মনু মিয়া (৬৫)। জয়নাল আবেদীনের ছেলে ও মনু মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪০)। স্থানীয়রা জানায়, ১৮ বছর আগে মিন্টু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মনিরার বিয়ে হয়। দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। গত রমজানে ঝগড়ার পর তার স্ত্রী মনিরা তার বাবার বাড়িতে আসে। এরপর আর স্বামীর বাড়িতে যাননি।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে স্বামী মিন্টু মিয়া বোরকা পরে তাদের বাড়িতে আসেন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে তার স্ত্রী মনিরা, পরে শাশুড়ি ও শ্বশুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারী আরও ৩ জনকে এলোপাতাড়ি কু// পিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাশের বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মনিরা বেগম (৪০) প্রয়াত হয়। বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুইজনের প্রয়ান হয়। শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান নাহিদ চৌধুরী জানান, মনিরা বেগম ঘটনাস্থলেই প্রয়াত হন এবং বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন প্রয়াত হন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আসামিদের গ্রেফতারে জেলাব্যাপী অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মিন্টু মিয়া বোরকা পরে খোশালপুরের পুতল গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিন্টু হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়িতে উপস্থিত সদস্যদেরকে এলোপাতাড়ি কো// পাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই তার স্ত্রী মনিরা বেগম প্রয়াত হয়। মনু মিয়া, শেফালী বেগম, শ্যালক হাজী মোঃ মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা এসে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। শেফালী ও হাজী মো. মাহমুদকে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রয়াত ঘোষণা করেন। মনু মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।