দশমীর দিনটিতে শোভন চ্যাটার্জি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে নিজের করে নিয়েছেন, যা নিয়ে এবার দেখা দিয়েছে বিপ’ত্তি। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এই ধরনের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসতে না আসতেই বৈশাখী জানিয়ে দিয়েছেন যে, আমাদের মাঝে কখনও স্বীকৃতির কোনো ঘাটতি ছিল না। শোভন বৈশাখীকে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়ার পর এই বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন তার স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জি। তিনি বলেছেন, “হিন্দু বিবাহ আইন মোতাবেক, আমি এখনও শোভনের স্ত্রী হিসেবেই আছি।” তাই সে সেই আইন ভে’ঙ্গে অন্য কোনো নারীকে সিঁদুর পরালে সেটা চরম অ/ন্যা’য় করেছে, সে এটা করতে পারে না।
এর পরেই রত্না যোগ করেন, স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্য কোনো স্ত্রীলোকের সঙ্গে থাকে, তাহলে ওই স্ত্রীলোককে সমাজ ‘র’ক্ষিতা’ বলে। র’ক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না। প্রসঙ্গত, গত তিন বছর ধরে বিবাহ বি’চ্ছেদের মা’/ম’লা চলছে শোভন-রত্নার মধ্যে। এখনো সেই মা’ম/লার নিষ্পত্তি হয়নি।
রত্না বলেন, শোভন-বৈশাখী যা পারছে করছে। কিন্তু ভুলে যাচ্ছে ভারতে এখনো আইন আছে। শোভন আইনত এখনো আমার স্বামী। তিনি আরো বলেন, দুর্গা প্রতিমার পেছনে একটা বাঁশ থাকে জানেন তো। আমিই সেই বাঁশ। তারা বিয়ের কথা ভাবুক। তারপর আমি দেখছি, কী করা যায়। পূজার সময় ফোন করে শোভন একবারও ছেলে-মেয়ের খোঁজ নেয়নি।
শোভনের শ্বশুর তথা ভারতের মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস সরাসরি শোভন-বৈশাখীর এমন সিঁদুর পরানোর ঘটনাকে ‘ব্য/ভি’চার’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে এই ধরনের মানুষেরা সমাজকে দূষিত করে চলেছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এগিয়ে আসা উচিত এবং তাদের উচিৎ এই ধরনের ঘটনায় নিজ উদ্যোগে তাদের বিরু’দ্ধে মা/ম’লা দা’/য়ের করা। উ’ন্মাদের মতো তারা যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। তারা যেটা করছে এটা আইন সিদ্ধ নয়, এটা স্রেফ ব্য’/ভি’চার, অন্য কিছু বলা যায় না এটাকে।
খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।