মানসিক চাপে পড়ে মানুষ নানা ধরনের বোকামি করে বসে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়েছিলেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ( Hatibandha ) ( Hatibandha Lalmonirhat ) এলাকার শফিকুল ইসলাম আক্কেল ( Shafiqul Islam Akkel ) আলী। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থদন্ডি দেন শফিকুল ইসলাম। তবে নির্বাচনের পরই ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা। খবর পায় নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন তিনি। নির্বাচনের কিছুদিন পর থেকেই তার সংসারে অভাব অনাটন দেখা দেয় । একপর্যায়ে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
বুধবার সকাল ১১টার ( 11 o'clock morning ) দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি গাছে উঠে নিজেকে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর গাছ থেকে বেরিয়ে বৈদ্যুতিক তারের খুঁটিতে যায় । এ সময় স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে পুলিশে ( police ) খবর দেয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাকে নামিয়ে আনে।
শফিকুলের স্ত্রী তুহুলী বেগম ( Tuhuli Begum ) বলেন, বিয়ের পাঁচ বছর পরও পরিবার আমাদের মেনে নেয়নি। স্বামীর কোনো কাজ না থাকায় দিন দিন নিঃস্ব হয়ে যাই। ছেলে-মেয়েরা মাদ্রাসায় পড়াশুনা করছে আর সে টাকা যোগান দেয়াও আমাদের সামর্থ্যও নেই। আমাদের পরিবারের কেউই সহযোগিতা করছে না। তাই তিনি বারবার এটা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলামের বাবা রমজান আলী ( Ramzan Ali ) (৭০) বলেন, আমার আট ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শফিকুল ইসলাম ১৫ বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। সে নিষিদ্ধ দ্রব্যও সেবন করেন। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আমাদের নাম ডুবিয়েছে। তাই আমরা তার খোঁজ খবর রাখি না।
উল্লেখ্য, শফিকুল ইসলামের এমন ঘটনা নতুন নয়, তিনি এর আগেও গাছে উঠে নিজেকে নিথর করার চেষ্টা করেছেন। সেবারও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনা প্রকাশ করেন হাতীবান্ধা ( Hatibandha ) ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন। ( Monir Hossain. ) তবে শফিকুলের বারবার এমন পদক্ষেপ নেয়ার মূল কারণ আর্থিক সমস্যা নাকি অন্য কিছু তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন হাতীবান্ধা ( Hatibandha ) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম (ওসি)।