বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতি রয়েছে বলে স্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, রিজার্ভের ঘাটতি রাতারাতি কাটবে না। তবে অযৌক্তিক পর্যায়ে বাজারে ডলার সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হবে না। রিজার্ভ বাড়াতে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
বুধবার সচিবালয়ে ‘মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা সালাউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রিজার্ভ সংকট নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নতুন গভর্নর বলেন, রিজার্ভ সংকট আছে, কট ওভারনাইট যাবে না। এটা আমরা দেখব। আমি এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকে যাইনি। আমাদের হিসাব করতে হবে, আমরা কতখানি সাপ্লাই দিতে পারি বাজারে। আমাদের যেটুকু মিনিমাম সেটুকু রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এটা অযৌক্তিক লেভেলে কমিয়ে দেওয়া যাবে না, তাহলে বাজারে কনফিডেন্সের অভাব হবে। সেটাকে রেখে কতখানি ম্যাক্সিমাম সাপ্লাই দেওয়া যায় আমদানি বাড়ানোর ব্যাপারে অথবা কিছু পেমেন্ট যেগুলা হয়ে গেছে সেগুলো আমাকে ইজ আপ করতে হবে। কারণ পরবর্তী আমদানি তার কাছ থেকে করতে হলে আমাকে তাকে কিছু দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খুব সাবধানে হাঁটতে হবে। হাঁটতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করব। কিভাবে রিজার্ভ আরেকটু বাড়ানো যায়। সব মিলিয়ে চেষ্টা হবে এবং ইনশাল্লাহ কয়েক মাস পর ফল দেখা শুরু করব।
ব্যাংকিং কমিশনের বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, আজকে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা অবশ্যই এটি নিয়ে আলোচনা করব। ব্যাংকিং খাতকে সংস্কার করতে হবে। এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন কীভাবে করতে হবে সেটা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের সঙ্গে বসবে এবং আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলব। আলোচনার মাধ্যমে একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। সময়ের সঙ্গে আপনারা জানতে পারবেন।