Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বেশি বুঝলে দুই দুকূলই হারাতে হবে, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

বেশি বুঝলে দুই দুকূলই হারাতে হবে, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বেতন বৃদ্ধি, এই-ওটা, যদি কোনো ধরনের আন্দোলন (গার্মেন্টস শ্রমিক) হয়। এই রপ্তানি বন্ধ হলে পোশাকসহ সব কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে আমও যাবে, সালাও যাবে। বেতন না বাড়লে চাকরি চলে যাবে। আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে। তাহলে কি করবেন? কারো কথায় অশান্তি হলে দেশের ক্ষতি, নিজের ক্ষতি। এটা সবার মনে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বেতন বৃদ্ধি, এই না হলে কোনো ধরনের আন্দোলন (গার্মেন্টস শ্রমিক) হবে। এই রপ্তানি বন্ধ হলে পোশাকসহ সব কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে আম যাবে, শালাও যাবে। বেতন না বাড়লে চাকরি চলে যাবে। আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে। তাহলে কি করবেন? কারো কথায় অশান্তি হলে দেশের ক্ষতি, নিজের ক্ষতি। এটা সবার মনে রাখতে হবে। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কার্যত যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেসব নেতা উসকানি দিচ্ছেন, কারা উসকানি দিচ্ছেন- সেটা বিবেচনা করা উচিত। আমি সরাসরি বললাম আসল কথা।

তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশগুলোতে যে পণ্য রপ্তানি করি তার মধ্যে পোশাক অন্যতম। প্রতিবাদ করছেন এ শিল্পের শ্রমিকরা। আন্দোলন ঠিক আছে। কিন্তু যে দেশগুলো আমাদের গার্মেন্টস পণ্য কিনবে। এখন আমরা ভালো সুবিধা পাচ্ছি, উৎপাদন বাড়ছে, শ্রমিকদের মজুরি বন্ধ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ যারা কিনবে তাদের ক্রয়ক্ষমতা থাকবে না। যাদের কাছে আমরা রপ্তানি করি তাদের ক্রয়ক্ষমতাও সীমিত হয়ে যাচ্ছে। এটা দিন দিন খারাপ হচ্ছে. আমরা আমেরিকা, ইউরোপ পাঠাই। সেসব জায়গায় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কত মানুষ না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে সেখানে। সেই তুলনায় এখন পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের সবাইকে খাদ্য, বস্ত্র এবং ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছি। সেখানে কেউ অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইলে আমি বলব শেষ পর্যন্ত বেশি বুঝলে দুই পক্ষকেই হারতে হবে। এটাও সবাই মনে রাখুক।

তিনি আরো বলেন, কেউ যদি মনে করে আন্দোলন করে এই কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, আমি সেই কারখানা বন্ধ করে দেব। কারখানা বন্ধ হলে চাকরি চলে যাবে। তাহলে বেতন বাড়বে না, বেতনহীন হয়ে যাবে। আমরা না বুঝলে আমাদের কিছু করার নেই। বেসরকারি খাতে আমরা আর কত টাকা দেব? আমরা ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। সব ধরনের প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। এর বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে আমরা কোনো কারখানা বন্ধ করতে দেইনি। চালিয়ে যাওয়ার জন্য সব ধরনের সুযোগ দিয়েছি। আমরা সেখানে প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি, পোশাক শ্রমিকদের ভর্তুকি দিয়েছি যাতে তারা বেতন পায়। আমরা এই শ্রমিকদের সরাসরি ফোনে অর্থ প্রদান করেছি। এমনকি মালিকদের হাতেও নেই। এখন তার সুফল পাচ্ছি। কাজ পাচ্ছে, রপ্তানি বাড়ছে। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পোশাক শ্রমিকদের উসকানি দাতা নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন এই সকল অশান্ত পরিবেশ সকলকে বন্ধ করতে হবে তা না হলে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন যদি এই ধরনের পরিবেশ অশান্ত করার কাজে লিপ্ত হয় তাহলে যেই কলকার খানার শ্রমিকরা এই কাজের সাথে লিপ্ত থাকবে সেই কলকারখা প্রয়োজনে বন্ধ করে দেওয়া হবে তাহলে শুধু বেতন বাড়ানোই নয় বেতনশুন্য হয়ে থাকতে হবে এক কথায় এদিক ঐ দিক দুই দিকই হারাতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

 

About Syful Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *