বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বলেছেন, তিনি দলত্যাগ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন এমন নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এই মুহূর্তে রাজনীতি নিয়ে ভাবছি না। আমি রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখছি।
দ্বাদশ নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ বলেন, বিএনপির উচিত আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে নির্বাচনে যাওয়া। বিএনপি নির্বাচনে গেলে আমি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।
সরকারের মন্ত্রীরা দাবি করছেন, আপনারা নতুন দল গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেবেন, এ বিষয়ে আপনাদের মতামত কী, এ বিষয়ে বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখছি। যে সব আপনি লিখুন. এখন আর বলব না।
৭৯ বছর বয়সী হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দুই মাস আগে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে আবার অসুস্থ বোধ করছেন।
তিনি বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। সিএমএইচে ভর্তি হলাম। এরপর একবার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলাম।
এখন শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। সেজন্য আবার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাব। আমি ভিসার জন্য আবেদন করব। ‘
হাফিজ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন ‘জেড’ ফোর্সে ছিলেন। যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তিনি বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত হন।
সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন।
হাফিজউদ্দিন আহমেদ ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসন থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে খালেদা জিয়া সরকার গঠন করলে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে কয়েকবার জেলে যেতে হয়েছে এই নেতাকে।
২০২০ সালে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে একটি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি। ওই ঘটনায় বহিষ্কৃত হন শওকত মাহমুদ। পরবর্তীতে হাফিজ উদ্দিনকে বিএনপির একাধিক কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। সম্প্রতি তাকে নিয়ে আবারো গুঞ্জন ছড়াচ্ছে।
ফুটবলে হাফিজউদ্দিন একটি পরিচিত নাম। দীর্ঘদিন জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন।