আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এটা একটা বড় সাফল্য। এবারের নির্বাচনে বিএনপির ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা ও ৩০ জন সাবেক সংসদ সদস্য অংশ নিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার অনেক দেশে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। তাতে কি নির্বাচন অবৈধ হবে? কিছু দল না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, বেআইনি হবে, এমন কোনো কথা নেই।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি থেকেও অনেকে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, মঞ্জুর আলম, শওকত মাহমুদ, তৈমুর আলম খন্দকার, শমসের মবিন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আহসান হাবীব, একেএম ফখরুল ইসলামসহ ১৫ কেন্দ্রীয় নেতা এবং শাহ মোহাম্মদ জাফর ও মাজরুজ্জামান খানসহ ৩০ সাবেক সংসদ সদস্য অংশ নেন। নির্বাচনে করছেন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন ঘিরে অনেক দিন পর সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। দেখার জন্য একটি উত্সব. জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ, কোন দল এল বা না এল তাতে কিছু যায় আসে না। ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমর পছন্দ হওয়ায় আওয়ামী লীগে যোগ দিতে এসেছেন। এটা দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে যে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, সে বিষয়ে টিআইবি বা সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) বলার কিছু নেই। কিন্তু তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে। তিনি আরও বলেন, আমি বিএনপি নামের একটি দলের ষড়যন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করছি, হরতাল-অবরোধ, কোনো আন্দোলন সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। কিন্তু তারা সন্ত্রাস করতে পেরেছে।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এবং কার্যনির্বাহী সদস্য সাখাওয়াত হোসেন শফিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।