Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বেরিয়ে আসছে ডিবি হারুনের অপকর্ম, তৌহিদ আফ্রিদির পোস্ট নিয়ে সামালোচনার ঝড়

বেরিয়ে আসছে ডিবি হারুনের অপকর্ম, তৌহিদ আফ্রিদির পোস্ট নিয়ে সামালোচনার ঝড়

দেশের চলমান ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে অনেক জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবাররা আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাসরিফ খান, সালমান মুক্তাদিরসহ বেশ কয়েকজন প্রথম সারির ইউটিউবার ছাত্রদের প্রতি তাদের সংহতি জানিয়েছেন। কিন্তু কিছু ইউটিউবার নীরব থাকায় তাদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এমনই একজন ইউটিউবার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি, যাকে নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

আফ্রিদির নীরবতা নিয়ে সমালোচনার পর, অবশেষে তিনি মুখ খুলেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন, যেখানে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। পোস্টটিতে তিনি তুলে ধরেছেন কীভাবে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (NTMC) এবং ডিবি হারুন তাকে ফোন করে তার সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্ট মুছে ফেলার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। তিনি জানান, তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, এমনকি জঙ্গি মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ও দেখানো হয়েছিল।

আফ্রিদি পোস্টে আরও জানান, একটি এজেন্সি তাকে এবং অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস তৈরির জন্য পোস্ট করানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তিনি এবং তার পরিচিতরা এ ধরনের পোস্ট করতে রাজি হননি। এজেন্সি থেকে চাপ দেওয়া হলেও আফ্রিদি এবং অন্যান্য ইউটিউবাররা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

পোস্টে তিনি ডিবি হারুনের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং তাকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানোর অভিযোগও তোলেন। আফ্রিদি দাবি করেন, হারুন তাকে নিজের রিসোর্টের প্রচারণা করানোর জন্য বাধ্য করেছিলেন এবং কোনো পারিশ্রমিকও দেননি। তিনি জানান, তার নীরবতা ছিল তার সবচেয়ে বড় অপরাধ, আর সেই অপরাধের জন্য তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।

তৌহিদ আফ্রিদির এই পোস্টে ডিবি হারুনের অপকর্মের নানা দিক উন্মোচিত হয়েছে, যা নিয়ে নেটিজেনরা আরও সমালোচনা শুরু করেছেন। পোস্টটি প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই আফ্রিদি পোস্টটি মুছে ফেললেও তা ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে।

তৌহিদ আফ্রিদির পোস্টে যা তুলে ধরা হয়েছে, তাতে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসতে পারে। তার পোস্টের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সম্ভবত নিম্নলিখিত কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে:

১. ডিবি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত: আফ্রিদির অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবি হারুনের ক্ষমতার অপব্যবহার, ভিন্নমতাবলম্বীদের হুমকি দেওয়ার এবং ব্যক্তিগত কাজে ইনফ্লুয়েন্সারদের জোরপূর্বক ব্যবহারের বিষয়ে তদন্তের দাবি উঠতে পারে।

২.ইনফ্লুয়েন্সারদের প্রতি চাপ: আফ্রিদির পোস্টে উঠে আসা এজেন্সির মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সারদের ওপর চাপ প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে আরও বিশদ আলোচনা হতে পারে। এতে সরকার, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিতর্ক বাড়তে পারে।

৩. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠতে পারে। এ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান: তৌহিদ আফ্রিদির পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে ইউটিউবার ও ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে আরও আলোচনা হতে পারে। এতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো এবং সচেতনতা তৈরির গুরুত্ব নিয়ে আলাপ হতে পারে।

৫. ভবিষ্যতের পদক্ষেপ: তৌহিদ আফ্রিদি এবং অন্যান্য ইউটিউবাররা কীভাবে সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের চাপ ও হুমকি মোকাবিলা করবেন, সেটিও আলোচনার একটি বড় অংশ হতে পারে।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *