পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে প্রত্যাবাসন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তদন্তের সময় গ্রেপ্তার এবং বিদেশ ভ্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সংস্থাটি নীরব। এ সুযোগে আসামিরা তদন্তকালে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।
বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অভিযুক্তের হয়রানি ঠেকাতে বাড়তি সতর্কতার জন্য হার্ডলাইনে যায় না সংস্থাটি।
এদিকে দুর্নীতির তদন্তকালে কোনো ব্যক্তিকে বিদেশ যেতে বাধা দিতে ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে দুদককে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এমন অস্ত্র সংগঠনের হাতে তুলে দিলেও খুব একটা প্রয়োগ করতে দেখা যায় না।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শেষে সপরিবারে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। তার দেশে ফেরা এখন অনিশ্চিত। আবার এ সময়ের আলোচিত আরেকজন মতিউর রহমানও দিয়েছেন গা ঢাকা। যদিও মতিউর ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তারা বেনজির ও মতিউরের বিপুল পরিমাণ অপরাধের অর্থের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে। তাহলে দুদক কেন বেনজিরকে দেশে ফিরিয়ে এনে এবং মতিউরকে গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ নিচ্ছে না?
তদন্তকালে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা স্বীকার করে সংগঠনটির আইনজীবী বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে।
আইনজীবী বলেন, তদন্তে কাউকে গ্রেপ্তার করতে হবে কিনা তা কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে? আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, তদন্তকালে তদন্তকারী সংস্থা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেলে যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
দুদকের আইনজীবী আরও বলেন, সতর্কতার কারণে অনেক সময় কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। খুব সাবধানতা সহকারে সেই ক্ষমতাটার ব্যবহার করতে হবে। দুদক সব কিছু দেখে শুনে আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে, আইনবিধি দেখে তার সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ২১ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে আবারও নোটিশ দেয় দুদক। ছাগলকান্দের মতিউর ও তার পরিবারকেও একই সময় দেওয়া হয়েছে।