বর্তমানে বিদ্যুৎ নিয়ে সাধারন মানুষ ভোগান্তিতে দিন যাপন করছে। এমতাবস্থায় শুরু হয়ে গেছে জ্বালানি তেলের সংকট। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জালানি তেলের দাম। এই নিয়ে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি কমতি নেই। এই অবস্থায় সাম্প্রতিক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির খবর শুনে সিরাজগঞ্জের মিরপুর ফিলিং স্টেশনে শত শত যানবাহন জড়ো হয়েছে। ফলে তেল দেওয়া বন্ধ করে দেয় পাম্প কর্তৃপক্ষ। এতে গাড়ির কর্মীরা উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং পেট্রোল পাম্প ভাঙচুর করে।
এ সময় এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে মারধর করলে তাকে জোর করে তার কাপড় খুলে পালিয়ে যেতে হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুর ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, রাতে হঠাৎ করে তেলের দাম বেড়ে গেলে ক্রেতারা মিরপুর ফিলিং স্টেশনে ভিড় করতে থাকেন। মানুষ ঘুম থেকে উঠে পাম্পে তেলের জন্য আসে। বিশেষ করে বাইক ও ট্রাকের ভিড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন পেট্রোল পাম্পের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তেল বিক্রি বন্ধ করলে সেখানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় সেখানকার কয়েকজন এক ব্যক্তিকে মারধর শুরু করে। মারধরের হাত থেকে বাঁচতে ওই ব্যক্তি তার জামাকাপড় খুলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মিরপুর ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. বাবু খান জানান, তেলের দাম বাড়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শতাধিক বাইক ও ট্রাক এসে পাম্পে তেল দেয়। প্রতিটি বাইকার একটি পূর্ণ ট্যাঙ্ক তেল চায়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা তেল দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি। এতে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে পাম্প ভাঙচুর শুরু করেন।
এ বিষয়ে মিরপুর ফিলিং স্টেশনের মালিক হাজী আকবর আলী বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ম্যানেজার আমাকে ফোন করলে আমি তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মিরপুর ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু সকালে শুনলাম মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।
এমন ভাবে দেশের অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে এমন দাবি করছেন সাধারণ মানুষ। রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুর প্রথম দিক থেকেই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন অনেক মানুষ না খেয়েও দিনযাপন করেছে অনেকেঅ এরপরে শুরু হয়ে গেল বিদ্যুতের ঘাটতি, এখনো তার রেশ না কাটতেই ফের ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি এ সমস্ত কিছুর জন্য বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করছেন বিরোধী দলের অনেক নেতাবৃন্দরা।