সম্প্রতি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মকান্ডে নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন আইনবর্হিভূত কাজের অভিযোগ উঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের উপর। এ বিষয় নিয়ে ব্যাপক উদ্বেবেগের কথা প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয় র্যাবের এবং সেটি প্রত্যাহারের জন্য কিছু শর্ত জড়ে দিয়ে হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার পরও জাতিসংঘের মিটিং পুলিশের আইজিপি বেঞ্জির আহমেদের যাওয়া প্রসঙ্গে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য সেটি হুবাহু তলে ধরা হলে।
বেঞ্জির জাতিসংঘের মিটিং এ যোগ দেয়ার জন্য আমেরিকান ভিসা বা সীমিত ভিসা পাবে কিনা এটা আমেরিকান সরকারের এক্তিয়ার। এটা নিয়ে আগাম অনুমান করা মুশকিল। ভিসা না পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা নির্ধারক ভুমিকা পালন করতে পারে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসমুহের চাপ।
তবে বেঞ্জিরকে আমেরিকা পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্তে আমি খুশি। আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেয় এই কারণে যে সংস্লিষ্টরা সংশোধিত হবে। হাসিনা তার বাহিনীর আচরণ ও প্রাক্টিসের সংশোধনের কোন সদিচ্ছা রাখেনা এইটার দ্বিতীয় প্রমাণ রাখলো। এরমধ্যেই সে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া লোকদের পদক দিয়ে পুরষ্কৃত করছে।
বেঞ্জিরের আমেরিকান ভিসা পাওয়া বন্ধ করতে পারলে একটা রাম থাপ্পড় দেয়া যাবে। দেখা যাক সেটা পারা যায় কিনা। এটা নিশ্চিত করতে পারি, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বসে থাকবে না। বেঞ্জির এতো সহজে পার পাবেনা।
প্রসঙ্গত, দেশের মানবাধিকার অবনতির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ি করা হলেও সে ব্যাপারে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বরং তাদের পুরষ্কৃত করার হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এ বিষয় থেকে সরকার সহজে ছাড় পাবে না।